Eid e Ghadeer / ঈদ এ গদীর
Today, the 29th July 2021, Thursday, the 18th of Zilhaj is known as the day of Eid e Ghadeer. Returning back from Holy Mecca on the way to Holy Medina after completing Hajj, the Holy Prophet (pbuh) gathered all the Companions as per the command of Allah in a place midway between Holy Mecca and Holy Medina called Ghadeer e Khum, and gave a sermon regarding the ‘Vilayat’ (Authority of Guardianship) of His Holiness Ali (AS). This is why this sermon is also called the ‘Sermon of Ghadeer e Khum’. That day, the number of persons, that is, the Companions, numbered one hundred twenty four thousand.
Allah, Most Holy, revealed on the Holy Prophet (pbuh), Ayat No: 67 of Sura Maida,
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ۖ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ ۚ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
Meaning :- “Oh My Prophet (pbuh), convey what has been revealed upon you from your Lord, and if you do not do such, then you shall have delivered nothing of His Prophetic Message. Allah shall protect you from people. Indeed, Allah does not guide the unbelieving people.”
Then the Holy Prophet (pbuh) asked all the Companions to stop at a place named as ‘Khum’. And he delivered a sermon in a field in Khum next to a pond. A pond, in the Arabic language is called as ‘Ghadeer’. This is why this sermon is known as the ‘Sermon of Ghadeer e Khum’. A stage was made using the howdahs of camel backs. The Holy Prophet (pbuh) climbed onto that and recited praises and eulogies (of Allah) ; thereafter he said, ‘Very soon I shall respond to the call of Allah and bid my leave from you. I am myself one who is responsible, and you are also responsible in your matters. Shall I see how you will give witness regarding me?’ The people started to say loudly, ‘We give witness that you have carried out the responsibilities of your prophet-hood; you have counseled us; may Allah reward you and do good to you.’
Thereafter, the Master (pbuh) said, ‘Will you not testify to the unity of Allah, my prophet-hood, and the truth of dead people becoming alive on Judgment Day ?’ All said, ‘Yes, we testify to this.’ He (pbuh) said, ‘Oh, Allah, be the witness.’ Thereafter, the Master (pbuh) said, which has been narrated by Imam Tirmizi, quoting from Hazrat Zayed bin Akram (RA) –
قال رسول اللّه صلى عليه وآله وسلم إنِّي تاركٌ فيكم ما إن تمسَّكتُم به لن تضلُّوا بعدي – أحدُهما أعظمُ من الآخَر -:كتاب الله، حبْلٌ ممدودٌ من السَّماء إلى الأرض، وعِترتي أهل بيتي، ولن يتفرَّقَا حتى يرِدَا عليَّ الحوضَ، فانظروا كيف تَخلُفوني فيهما
Meaning : The Prophet (pbuh) said, ‘Indeed, I am leaving two important things in your midst, which these two, if you embrace, you shall never be misguided after me. Out of these two, one is much greater than the other. Allah’s Book (Quran Majid) and my family, my ‘Ahle Bayet’ which is a rope stretched from the sky to the ground. And until these two merge in the ‘Hauze e Kauser’ (Fountain of Kauser) with me, they will never be separated from each other. So, see how you behave with these two after me.’
(Tirmizi Sharif, 2nd Vol, Page 220)
Thereafter, the Holy Prophet (pbuh) raised high the hand of Master Ali (AS) and said –
“Yea aiyuhannas innallaha maulaya wa ana maulal mumineena wa ana awla bahim min anfusihim fa min kuntu mawlahu fa haza mawlahu yani alian alaihissalam.”
Translation : ‘Oh, Mankind, indeed, Allah is my Lord, and I am the Master of all the faithful, and I am closer to them than their ‘life-force’ (being). Therefore, of whomsoever, I am the Master, he, that is, Ali (pbuh) is his Master.’
The Holy Prophet (pbuh) uttered this sentence three times, four times according to some. Thereafter, he raised his two hands towards the sky and said –
اللهم والِ من والاه و عادِ من عاداه ، و احب من احبه ، و ابغض من ابغضه ، و انصر من نصره ، و اخذل من خذله ، و أدر الحق معه حيث دار
‘Oh Allah, whosoever keeps friendship with him, You keep friendship with him. And whosoever, keeps enmity with him, You keep enmity with him. And whosoever loves him, You love him. And whosoever is spiteful towards him, You be spiteful towards him. And, whosoever helps him, You help him, and whosoever desists from helping him, You also desist from helping him. And, wherever he goes, keep the truth with him.’
- Tabarani : Al Mu’jamul Kabir, 3 : 67
- Haysami : Majmauj Jawaed, 9 : 164
- Ibne Kasir : Al Bedaya Wannehaya, 5 : 463
- Ibne Hajar Makki, As Sowaekul Muhrika, Page – 35 (Egypt Print)
- Ghadir e Khum er Churanto Ghoshona, Page – 27-29
Special Note : For this reason, this day is known as ‘Eid e Ghadeer’ : meaning, this day is a day of rejoicing for us all.
✍️ Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader
আজ ২৯ শে জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১৮ ই যিলহাজ দিনটিকে ঈদ এ গদীর বলা হয়। মক্কা শরীফ থেকে হজ সেরে মদীনা শরীফ ফেরার পথে রসুলে পাক (স:) মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের মধ্যবর্তী স্থান গদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহ তা’লার হুকুমে সমস্ত সাহাবী দিগকে একত্রিত করে হযরত আলী (আ:) এঁর বেলায়াতের উপর একটি ভাষণ প্রদান করেছিলেন। তাই এই ভাষণটিকে গদীরে খুমের ভাষণও বলা হয়। সেদিন উপস্থিত জনতা অর্থাৎ সাহাবীদের সংখ্যা ছিল এক লাখ চব্বিশ হাজার।
আল্লাহ্ পাক রসুলে পাক (সঃ) এঁর উপর সুরা মাইদার ৬৭ নং আয়াত অবতীর্ণ করলেন,
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ۖ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ ۚ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ
অর্থ :- “হে আমার রসুল (সঃ) আপনি পৌঁছে দিন যা আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, আর যদি আপনি এমনটি না করেন তাহলে আপনি তাঁর রেসালাতের কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ্ আপনাকে মানুষের থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায় কে হেদায়াত করেন না।”
তখন রসুলে পাক (সঃ) সমস্ত সাহাবীদিগকে একটি জায়গায় থেমে যেতে বললেন যে জায়গাটির নাম ‘খুম’। আর খুম প্রান্তরে একটি পুকুরের পাশে ভাষণ দিয়েছিলেন। পুকুরকে আরবী ভাষায় বলে ‘গদীর’। তাই এই ভাষণটিকে গদীরে খুমের ভাষণ বলা হয়। উঁটের পিঠের হাওদা গুলো দিয়ে স্টেজ তৈরী করা হল। রসুলে পাক (স:) তাতে আরোহন করে আল্লাহ পাকের হামদ ও সানা পড়লেন অতঃপর বললেন ঃ আমি অতি শীঘ্রই আল্লাহ-র ডাকে সাড়া দিয়ে তোমাদের থেকে বিদায় নেব। আমি নিজেও একজন দায়িত্বশীল এবং তোমরাও তোমাদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। আমি দেখবো তোমরা আমার ব্যাপারে কিভাবে সাক্ষ্য দিবে? জনগণ উচ্চস্বরে বলতে লাগল আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি আপনার রেসালাতের দায়িত্ব পালন করেছেন; আমাদেরকে নসীহত করেছেন, আল্লাহ আপনাকে জাযা ও খায়র প্রদান করুন।
অতঃপর হুযুর (সঃ) বললেন ঃতোমরা কি আল্লাহ-র একত্ববাদ, আমার নবুয়াত ও কেয়ামতের দিন মৃত ব্যক্তিদের জীবিত হওয়ার সেই সত্য কথার সাক্ষী প্রদান করবে না? সকলেই বলল হ্যাঁ সাক্ষ্য দিচ্ছি। তিনি (সঃ) বললেন হে আল্লাহ সাক্ষী থেকো। অতঃপর হযুর (সঃ) বললেন যা ইমাম তিরমিযী হাযরত যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন,
قال رسول اللّه صلى عليه وآله وسلم إنِّي تاركٌ فيكم ما إن تمسَّكتُم به لن تضلُّوا بعدي – أحدُهما أعظمُ من الآخَر -:كتاب الله، حبْلٌ ممدودٌ من السَّماء إلى الأرض، وعِترتي أهل بيتي، ولن يتفرَّقَا حتى يرِدَا عليَّ الحوضَ، فانظروا كيف تَخلُفوني فيهما
অর্থ :- রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন ” নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে এমন দুটি গুরুত্বপূরন জিনিস ছেড়ে যাচ্ছি যদি তোমরা সে দুটিকে আকড়ে ধর তাহলে আমার পর তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। এ দুটির মধ্যে একটি অপরটি অপেক্ষা অত্যন্ত বড়। আল্লাহ-র কেতাব (কুরান মজীদ) এবং আমার খানদান আমার আহলে বায়েত আসমান থেকে যমীন পর্যান্ত বিসতৃত রশি।আর এ দুটি হাওযে কওসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনোই একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। সুতরাং দেখ যে,তোমরা আমার পর এদুটির সাথে কিরূপ ব্যবহার কর।”
(তিরমিযী শরীফ, ২য় খণ্ড, ২২০ পৃষ্ঠা)
তারপর রসুলুল্লাহ (সঃ) মওলা আলী (আঃ) এর হাত উচু করে তুলে ধরে বললেন,-
“ইয়া আয়্যোহাননাস ইন্নাল্লাহা মওলায়া ওয়া আনা মওলাল মু’মিনীনা ওয়া আনা আওলা বেহিম মিন আনফুসিহিম ফা মান কুনতু মওলাহু ফা হাযা মওলাহু য়া’নি আলীয়ান আলায়হিসসালাম।”
তরজমা ঃ “হে মানব জাতি নিঃসন্দেহে আল্লাহ আমার মওলা আর আমি সমগ্র মুমিনদিগের মওলা এবং আমি তাদের জানের থেকেও অধিক নিকটবরতী। সুতরাং আমি যার মওলা ইনি অর্থাৎ আলী (আঃ) তার মওলা। “
এই বাক্যটি নবী পাক (সঃ) তিন বার কারো মতে চারবার পুনরাবৃত্তি করলেন। অতঃপর আসমানের দিকে হাত দুটি তুলে বললেন,
اللهم والِ من والاه و عادِ من عاداه ، و احب من احبه ، و ابغض من ابغضه ، و انصر من نصره ، و اخذل من خذله ، و أدر الحق معه حيث دار
” হে আল্লাহ যে ইনার সাথে বন্ধুত্ব্ব রাখে তুমি তার সাথে বন্ধুত্ব রাখো। এবং যে ইনার সাথে শত্রুতা রাখে তুমি তার সাথে শত্রুতা রাখ। এবং যে ইনাকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস। এবং যে ইনাকে হিংসা করে তুমি তাকে হিংসা কর। এবং যে ইনাকে সাহায্য করে তুমি তাকে সাহায্য কর এবং যে ইনাকে সাহায্য করা ছেড়ে দেয় তুমিও তাকে সাহায্য করা ছেড়ে দাও। এবং যে স্থানেই ইনি যান সত্যকে ইনার সাথে রাখ। “
১। তাবারাণী : আল মু’জামুল কবীর, ৩ : ৬৭
২। হায়সামী : মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৯ : ১৬৪
৩। ইবনে কাসীর : আল বেদায়া ওয়াননেহায়া, ৫ : ৪৬৩
৪। ইবনে হজর মক্কী : আস সোয়ায়েকুল মুহরিকা প্রিষ্ঠা – ৩৫ (মিশর প্রিন্ট)
৫। গদীর এ খুম এর চূড়ান্ত ঘোষণা, প্রিষ্ঠা – ২৭-২৯
বিঃদ্রঃ এই কারণে এই দিনটি কে ঈদ এ গদীর বলা হয়। অর্থাত এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য খুব আনন্দের দিন।
✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী