Brief Needful Guidance for ‘Qurbani’ (sacrifice)/কুরবাণীর সংক্ষিপ্ত প্রয়োজনীয় মাসায়েল
Brief Needful Guidance for ‘Qurbani’ (sacrifice)
𝗧𝗵𝗲 𝗱𝗲𝗳𝗶𝗻𝗶𝘁𝗶𝗼𝗻 𝗼𝗳 ‘𝗤𝘂𝗿𝗯𝗮𝗻𝗶’ :
The act of sacrificing a specific animal on a specific day in the path of Allah for the purpose of getting rewards (for goodness) is known as ‘Qurbani’.
Qurbani is ‘wajib’ (obligatory) for the ‘Sahib e Nisab’ (those deemed to be having minimum acceptable wealth) be it male or female.
Qurbani is an important form of worship. He, who does not perform this worship, even after having the wherewithal (being ‘Sahib e Nisab’), his matter has come up in the Hadees as, ‘he, who has the wherewithal for Qurbani and does not perform it, may he not come to the ‘Eidgah’ (place for Eid prayer)’. [Sunan e Ibne Majah : 3/529, Mustadrak Hakem Hadees : 3519]
𝗤𝘂𝗲𝘀𝘁𝗶𝗼𝗻 : Who is ‘Sahib e Nisab’ (those deemed to be having minimum acceptable wealth)?
𝗔𝗻𝘀𝘄𝗲𝗿 : Aside from the ‘Hajat e Aslia’ or the necessary things (of use) eg. residence for living, car for movement, clothing, etc, and aside from the expenses for the whole year, if one is the owner of seven and a half ‘bhori’ of gold or fifty two and a half ‘bhori’ of silver or the same value in money, then he shall be ‘Sahib e Nisab’ and ‘Qurbani’ shall be obligatory on him. If he does not offer ‘Qurbani’ he shall be a sinner.
𝟭𝟭 𝗡𝗲𝗲𝗱𝗳𝘂𝗹 𝗜𝗻𝘀𝘁𝗿𝘂𝗰𝘁𝗶𝗼𝗻𝘀 𝗥𝗲𝗴𝗮𝗿𝗱𝗶𝗻𝗴 ‘𝗤𝘂𝗿𝗯𝗮𝗻𝗶’
1 : ‘Qurbani’ is not an obligation upon a wayfarer, but if it is done as supplementary for reward, then reward shall be attained. (Durre Mukhtar)
2 : On the day of ‘Qurbani’ if one gives money instead of offering ‘Qurbani’ then it will not be acceptable ; ‘Qurbani’ must be offered. (Fatwa e Alamgiri)
3 : On, 1 cow, 1 buffalo, or 1 camel, seven persons can offer ‘Qurbani’, not more than that. For goat, sheep, dumba, only one person can offer ‘Qurbani’.
4 : At the least, for ‘Qurbani’, the age for camel must be 5 years, for buffalo, cow, 2 years, and for goat, dumba, sheep, 1 year. (Durre Mukhtar) It cannot be less, but if it is more, then there is no fault, rather it is better. But if the young dumba or sheep of 6 months, appears to be of 1 year’s age from a distance, then ‘Qurbani’ is acceptable. (Bahare Shariat, Durre Mukhtar)
5 : Animals that are blind, lame, cut-eared, cut-nosed, cut-tailed, toothless, hermaphrodite, ear-less by birth, extremely weak – animals with these discrepancies (faults) are not admissible for ‘Qurbani’. (Bahare Shariat, Durre Mukhtar)
6 : If the animal for ‘Qurbani’ gives birth after its purchase, then it has to be slaughtered on the ‘Qurbani’ day or the calf is to be sold and the proceeds be given away. Besides this, if it gives birth on the ‘Qurbani’ day, then the same stipulation will apply ; it is to be slaughtered or it has to be given away (Alamgiri). But it is better to give away.
7 : Our Prophet Hazrat Muhammad (Peace be Upon Him and his Family) has performed ‘Qurbani’ for the ‘Ummah’ (People), therefore, it is necessary to offer ‘Qurbani’ for him (in his name) ; it is a matter of kismet (not everyone is so fortunate) (Bahare Shariat)
8 : It is permissible to offer ‘Qurbani’ on somebody’s behalf or in somebody else’s name, but there must be one in one’s own name (therefore, two ‘Qurbani’s must be done in total).
9 : The meat must be divided into 3 parts ; 1 part to be distributed among poor people, and 1 part to be distributed among relatives and friends, the remaining 1 part for himself. However, if the family members are too many, then comparatively more meat can be kept for the family. (Kanoon e Shariat). *If ‘Qurbani’ is offered in the name of a dead person, then the same stipulation applies. However, if it is the prior will of the dead person, then the entire meat must be distributed ; one cannot eat it.
10 : The time for offering ‘Qurbani’ is from time of sunrise of the 10th Zilhajj to the time of sunset of the 12th Zilhajj, that is, 3 days. ‘Qurbani’ shall be acceptable if it is offered among any of these days, but offering it on the first day (10th Zilhajj) is best. (Kanoon e Shariat)
11 : The proceeds, after the sale of the animal skin, must be distributed among the poor, orphans and the needy.
✍️ Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
কুরবাণীর সংক্ষিপ্ত প্রয়োজনীয় মাসায়েল
কুরবাণীর সংজ্ঞা : –
নির্দিষ্ট পশু নির্দিষ্ট দিনে নেকির উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাস্তায় জবাহ করাকে কুরবানী বলে ৷
কুরবাবাণী, সাহব-এ- নেসাব এর উপর ওয়াজিব, সে পুরুষ হক অথবা নারী ৷ কুরবাণী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত । সামর্থ্য থাকা সত্বেও (সাহেব-এ-নেসাব হওয়া সত্বেও) যে ব্যক্তি এই ইবাদাত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে ” যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে । [ সুনানে ইবনে মাজাহঃ-৩/৫২৯, মুস্তাদরাক হাকেম হাদীসঃ- ৩৫১৯ ]
প্রশ্ন – সাহেব-এ-নেসাব কে?
উত্তর– হাজাতে আসলিয়া অর্থাৎ প্রয়োজনীয় (ব্যবহৃত) বস্তু যেমন -থাকার জন্য বাড়ি, চড়ার জন্য গাড়ি, জামা কাপড় ইত্যাদি বাদ রেখে এবং সারা বছরের খরচ-খরচা বাদে সাড়ে সাত ভরী সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরী রূপ বা সপরিমান অর্থের মালিক হলে সে সাহেব-এ- নেসাব হবে , তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে ৷ কুরবাণী না করলে সে গুনাহগার হবে ৷
কুরবানী সম্পর্কিত ১১টি প্রয়োজনীয় মাসায়েল
১– মুসাফিরের উপর কুরবাণী ওজিব না তবে নেকির উদ্দেশ্যে নফল হিসাবে কুরবাণী করলে নেকি লাভ করবে ৷ (দুররে মুখতার)
২– কুরবাণীর দিন কুরবাণী না করে যদি কুরবানির পশু পরিমান অর্থ দান করে তাহলে কুরবাণী আদায় হবে না, কুরবাণীই করতে হবে ( ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী)।
৩– ১টি গরু, ১টি মোষ,১টি উট এ সাত জন কুরবাণী দিতে পারবে, তার বেশি হবে না ৷ ছাগল,ভেড়া,দুম্বা এতে এক এক জন-ই কুরবাণী করতে পারবে ৷
৪– কম পক্ষে, কুরবাণীর ক্ষেত্রে, উট ৫ বছর, মোষ ও গরু ২ বছর ছাগল,দুম্বা,ভেড়া ১ বছর হতে হবে ৷ (দুররে মুখতার) তার কম হলে হবে না কিন্তু বেশি হলে সমস্যা নেই বরং আফযাল ৷ তবে দুম্বা ও ভেড়া ৬ মাসের বাচ্চা যদি এতটা বড় হয় যে, দুর থেকে দেখে ১ বছরের সমান মনে হয় তাহলে তার কুরবাণী দেওয়া জায়েয। (বাহারে শরিয়াত,দুররে মুখতার, )
৫– অন্ধ,ল্যাংড়া,কান কাটা,নাক কাটা,লেজ কাটা,বে দাঁত,হিজড়া ,জন্মগত কান না থাকা,অতি দুর্বল – এই সমস্ত আইব (ত্রুটি) থাকলে,সেই সমস্ত পশুর কুরবাণী বৈধ নয় ৷ ( বাহারে শরিয়াত,দুররে মুখতার)
৬– কুরবাণীর পশু ক্রয় করার পর যদি সে বাচ্চা জন্ম দেয় তাহলে তা কুরবাণীর দিন জবেহ করতে হবে, অথবা সেই বাচ্চা বিক্রি করে মূল্য দান করে দিতে হবে ৷ এছাড়া কুরবাণীর দিন যদি বাচ্চা জন্ম দেয় তাহলে একই হুকুম হবে, জবেহ করতে হবে অথবা সাদকা করে দিতে হবে (আলমগিরী)। তবে সদকা করে দেওয়ায় উত্তম।
৭– আমাদের নবী হজরত মোহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) উম্মতের জন্য কুরবাণী করেছেন অতএব তিনার জন্য (তিনার নামে) কুরবাণী করা দরকার এটা নাসিবের ব্যপার (সবার কপালে জুটেনা)- ( বাহারে শরিয়াত)
৮– কারো পক্ষ থেকে বা কারো নামে কুরবাণী করা জায়েয তবে নিজের নামেও একটি থাকতে হবে ( অর্থাৎ মোট দুটি কুরবাণী করতে হবে)।
৯– গোস্ত ৩ভাগ করতে হবে ১ভাগ দারিদ্র মানুষদের মাঝে বন্টন করতে হবে, আর ১ ভাগ আত্মীসজন ও বন্ধুগণের মধ্যে বন্টন করতে হবে ,বাকি এক ভাগ নিজে নিবে ৷ তবে পরিবারের মানুষ যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে তুলনামূলক বেশি গোস্ত পরিবারের জন্য রাখতে পারবে ৷(কানুনে শরিয়াত) * মৃত ব্যক্তির নামে কুরবাণী করলে সেই গোস্তের একই হুকুম ৷ তবে যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়াত করে যায় তাহলে সমস্ত গোস্ত বন্টন করতে হবে, নিজে খাওয়া যাবে না ৷
১০– ১০ই জিলহজ সূর্য উঠার পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবাণী করার সময় ৷ অর্থাৎ ৩দিন ৷ এই দিনগুলির মধ্যে যে কোন একটি দিনে কুরবানি করলেই কুরবাণী সুদ্ধ হবে তবে প্রথম দিন (১০ই জিলহজ) কুরবাণী করা উত্তম ৷ (কানুনে শারিয়াত)
১১– কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করে সেই অর্থ গরিব, এতিম, মিসকিনদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে ।
✍️ আলহাজ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী