*Eid e Ghadir*/*ঈদ এ গদীর*
The coming 9th August 2020, Sunday, 18th Zilhajj is the day of Eid e Ghadir. After completing Hajj in Holy Mecca on 10th Zilhajj, on the way back to Holy Madina, the Holy Prophet (pbuh) stopped at a place named Ghadir e Khum, midway between Holy Mecca and Holy Madina, where he gathered all the companions on the command of Allah and delivered a sermon regarding the ‘Vilayat’ (bestowal of authority) of Hazrat Ali (AS). This is why this sermon is known as the ‘Sermon of Ghadir e Khum’. On that day, the number of companions present was one hundred and twenty four thousand.
Allah, Most Holy, proclaimed Ayat number 67 of Sura Maida on the Holy Prophet (pbuh) –
يا أيها الرسول بلغ ما أنزل إليك من ربك و إن لم تفعل فما بلغت رسالته والله يعلمك من الناس إن الله لا يهدي القوم الكافرين
Meaning : “Oh my Prophet (pbuh), convey what has been revealed upon you from your Lord, and if you do not, then you have not revealed nothing of His Message. Allah will protect you from people. Indeed, Allah does not guide the unbelieving people.” Meaning : “Oh my Prophet (pbuh), convey what has been revealed upon you from your Lord, and if you do not, then you have not revealed nothing of His Message. Allah will protect you from people. Indeed, Allah does not guide the unbelieving people.” Meaning : “Oh my Prophet (pbuh), convey what has been revealed upon you from your Lord, and if you do not, then you have not revealed nothing of His Message. Allah will protect you from people. Indeed, Allah does not guide the unbelieving people.”
The Holy Prophet then, asked all the companions to stop at one place which was called Khum. And he delivered a sermon in the field of Khum beside a pond. Pond, in the Arabic language is called ‘Ghadir’. This is why, this sermon is known as the ‘Sermon of Ghadir e Khum’. A stage was made using the howdahs on camel backs. The Holy Prophet (pbuh) climbed onto that and recited praises and eulogies (of Allah) ; thereafter he said, ‘Very soon I shall respond to the call of Allah and bid my leave from you. I am responsible for myself, and your are also responsible for yourself in your matters. I shall see how you will give witness regarding me.’ The people started to say in a loud voice, ‘We give witness that you have carried out the responsibilities of your prophet-hood ; you have counseled us ; may Allah reward you and confer goodness upon you.’
Thereafter, the Master (pbuh) said, ‘Will you not give witness to the unity of Allah, my prophet-hood, and the truth of dead people becoming alive on Judgment Day ?’ All said, ‘Yes, we give witness.’ He (pbuh) said, ‘Oh, Allah, be the witness.’ Thereafter, the Master (pbuh) said, which has been narrated by Imam Tirmizi, quoting from Hazrat Zayed bin Akram (RA) –
Meaning : It is narrated by Hazrat Zayed bin Akram ; he said, the Prophet said, ‘Certainly, I am leaving two important things in your midst, which if you embrace these, you shall never be misguided after me. Out of these two, one is much bigger than the other. Allah’s Book (Quran Majid) and my family, my ‘Ahle Bayet’ which is light spread from the sky to the ground. And until these two merge in the ‘Hauze e Kauser’ (Fountain of Kauser) with me, they will never be separated from each other. So, see how you behave with these two after me.’
(Tirmizi Sharif, 2nd Vol, Page 220)
Thereafter, the Holy Prophet (pbuh) raised high the hand of Master Ali (AS) and said –
يا أيها الناس إن الله مولاى و أنا مولى المؤمنين و أنا أول بهم من أنفسهم، فمن كنت مولاه فهذا مولاه يعني عليا عليه السلام
Meaning : ‘Oh, Mankind, indeed, Allah is my Lord, and I am the Master of all the faithful, and I am closer to them than their ‘life-force’ (being). Therefore, of whosesoever, I am the Master, he is his Master, meaning, Ali, Peace Be Upon Him.’
The Holy Prophet (pbuh) uttered this sentence three times, four times according to some. Thereafter, he raised his two hands towards the sky and said –
اللهم وال من والاه و عاد من عاداه فأحب من أحبه و أبغض من ابغضه و انصر من نصره واخذل من خذله و ادر الحق معه حيث دارا
Meaning : ‘Oh Allah, whosoever keeps friendship with him, You keep friendship with him. And whosoever, keeps enmity with him, You keep enmity with him. And whosoever is jealous of him, You be jealous of him. And, whosoever helps him, You help him, and whosoever desists from helping him, You also desist from helping him. And, wherever he goes, keep the truth with him.’
- Tabarani : Al Mu’jamul Kabir, 3 : 67, 180, 181
- Tabarani : Al Mu’jamul Kabir, 5 : 166, 167
- Haysami : Majmauj Jawaed, 9 : 164
- Hussamuddin Hindi : Kanjul Ummal, 1: 188, 189
- Ibne Asakir : Tarikhe Dimashk Al Kabir, 45 : 166-167, 169
- Ibne Kasir : Al Bedaya Wannehaya, 5 : 463
- Ibne Hajar Makki, As Sowaekul Muhrika, Page – 35 (Egypt Print)
- Ghadir e Khum er Churanto Ghoshona, Page – 27-29
Important Note : Since, Allah had given the declaration of the ‘Vilayat’ (bestowal of authority) to Master Ali (AS) through His Beloved, for this reason, this day is known as ‘Eid e Ghadir’ : meaning, this day is a day of rejoicing for us all.
*Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi*
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader
আগামী ৯ই আগস্ট ২০২০,রবিবার, ১৮ ই যিলহাজ্জ দিনটিকে ঈদ এ গদীরের দিন হবে । ১০ই যিলহাজ্জ মক্কা শরীফ থেকে হজ্জ সেরে মদীনা শরীফ ফেরার পথে রসুলে পাক (স:) মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের মধ্যবর্তী স্থান গদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহ তা’লার হুকুমে সমস্ত সাহাবী দিগকে একত্রিত করে হযরত আলী (আ:) এঁর বেলায়াতের উপর একটি ভাষণ প্রদান করেছিলেন। তাই এই ভাষণটিকে গদীরে খুমের ভাষণ বলা হয়। সেদিন উপস্থিত জনতা অর্থাৎ সাহাবীদের সংখ্যা ছিল এক লাখ চব্বিশ হাজার।
আল্লাহ্ পাক রসুলে পাক (সঃ) এঁর উপর সুরা মাইদার ৬৭ নং আয়াত অবতীর্ণ করলেন –
يا أيها الرسول بلغ ما أنزل إليك من ربك و إن لم تفعل فما بلغت رسالته والله يعلمك من الناس إن الله لا يهدي القوم الكافرين
অর্থ : “হে আমার রসুল (সঃ) আপনি পৌঁছে দিন যা আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, আর যদি আপনি এমনটি না করেন তাহলে আপনি তাঁর রেসালাতের কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ্ আপনাকে মানুষের থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায় কে হেদায়াত করেন না।”
তখন রসুলে পাক (সঃ) সমস্ত সাহাবীদিগকে একটি জায়গায় থেমে যেতে বললেন যে জায়গাটির নাম ‘খুম’। আর খুম প্রান্তরে একটি পুকুরের পাশে ভাষণ দিয়েছিলেন। পুকুরকে আরবী ভাষায় বলে ‘গদীর’। তাই এই ভাষণটিকে গদীরে খুমের ভাষণ বলা হয়। উঁটের পিঠের হাওদা গুলো দিয়ে স্টেজ তৈরী করা হল। রসুলে পাক (স:) তাতে আরোহন করে আল্লাহ পাকের হামদ ও সানা পড়লেন অতঃপর বললেনঃ আমি অতি শীঘ্রই আল্লাহ-র ডাকে সাড়া দিয়ে তোমাদের থেকে বিদায় নেব। আমি নিজেও একজন দায়িত্বশীল এবং তোমরাও তোমাদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। আমি দেখবো তোমরা আমার ব্যাপারে কিভাবে সাক্ষ্য দিবে? জনগণ উচ্চস্বরে বলতে লাগল আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি আপনার রেসালাতের দায়িত্ব পালন করেছেন; আমাদেরকে নসীহত করেছেন, আল্লাহ আপনাকে জাযা ও খায়র প্রদান করুন।
অতঃপর হুযুর (সঃ) বললেনঁ তোমরা কি আল্লাহ-র একত্ববাদ, আমার নবুয়াত ও কেয়ামতের দিন মৃত ব্যক্তিদের জীবিত হওয়ার সেই সত্য কথার সাক্ষী প্রদান করবে না? সকলেই বলল হ্যাঁ সাক্ষ্য দিচ্ছি। তিনি (সঃ) বললেন হে আল্লাহ সাক্ষী থেকো। অতঃপর হযুর (সঃ) বললেন যা ইমাম তিরমিযী হাযরত যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) হতে বর্ননা করেছেন –
অর্থ : হযরত যায়েদ বিন্ আরকাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রসুলুল্লাহ্ (সঃ)বলেছেন যে, ” নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে এমন দুটি গুরুত্বপূরন জিনিস ছেড়ে যাচ্ছি যদি তোমরা সে দুটিকে আকড়ে ধর তাহলে আমার পর তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। এ দুটির মধ্যে একটি অপরটি অপেক্ষা অত্যন্ত বড়। আল্লাহ-র কেতাব (কুরান মজীদ) এবং আমার খানদান আমার আহলে বায়েত আসমান থেকে যমীন পর্যান্ত বিসতৃত রশি।আর এ দুটি হাওযে কওসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনোই একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। সুতরাং দেখ যে,তোমরা আমার পর এ দুটির সাথে কিরূপ ব্যবহার কর।”
(তিরমিযী শরীফ, ২য় খণ্ড, ২২০ পৃষ্ঠা)
তারপর রসুলুল্লাহ (সঃ) মওলা আলী (আঃ) এর হাত উচু করে তুলে ধরে বললেন,-
يا أيها الناس إن الله مولاى و أنا مولى المؤمنين و أنا أول بهم من أنفسهم، فمن كنت مولاه فهذا مولاه يعني عليا عليه السلام
অর্থ : “হে মানব জাতি নিঃসন্দেহে আল্লাহ আমার মওলা আর আমি সমগ্র মুমিনদিগের মওলা এবং আমি তাদের জানের থেকেও অধিক নিকটবরতী। সুতরাং আমি যার মওলা ইনি তার মওলা অর্থাৎ আলী আলায়হিস সালাম।”
এই বাক্যটি নবী পাক (সঃ) তিন বার কারো মতে চারবার পুনরাবৃত্তি করলেন। অতঃপর আসমানের দিকে হাত দুটি তুলে বললেন –
اللهم وال من والاه و عاد من عاداه فأحب من أحبه و أبغض من ابغضه و انصر من نصره واخذل من خذله و ادر الحق معه حيث دارا
অর্থ : “হে আল্লাহ যে ইনার সাথে বন্ধুত্ব্ব রাখে তুমি তার সাথে বন্ধুত্ব রাখো। এবং যে ইনার সাথে শত্রুতা রাখে তুমি তার সাথে শত্রুতা রাখ। এবং যে ইনাকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস। এবং যে ইনাকে হিংসা করে তুমি তাকে হিংসা কর। এবং যে ইনাকে সাহায্য করে তুমি তাকে সাহায্য কর এবং যে ইনাকে সাহায্য করা ছেড়ে দেয় তুমিও তাকে সাহায্য করা ছেড়ে দাও। এবং যে স্থানেই ইনি যান সত্যকে ইনার সাথে রাখ। “
১। তাবারাণী : আল মু’জামুল কবীর, ৩ : ৬৭, ১৮০, ১৮১
২। তাবারাণী : আল মু’জামুল কবীর ৫ :১৬৬, ১৬৭
৩। হায়সামী : মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৯ : ১৬৪
৪। হুসসামুদ্দীন হিন্দী : কানযুল উম্মাল, ১ : ১৮৮, ১৮৯
৫। ইবনে আসাকির : তারীখে দিমশক আল কবীর, ৪৫ : ১৬৬-১৬৭, ১৬৯
৬। ইবনে কাসীর : আল বেদায়া ওয়াননেহায়া, ৫ : ৪৬৩
৭। ইবনে হজর মক্কী : আস সোয়ায়েকুল মুহরিকা পৃষ্ঠা – ৩৫ (মিশর প্রিন্ট)
৮। গদীর এ খুম এর চূড়ান্ত ঘোষণা, পৃষ্ঠা – ২৭-২৯
বিঃদ্রঃ- যেহেতু এই দিনটিতে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর হাবীবের মাধ্যমে মওলা আলী (আঃ) এঁর বেলায়াতের ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই কারণে এই দিনটি কে ঈদ এ গদীর বলা হয়। অর্থাৎ এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য খুব আনন্দের দিন।
*আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী*