Shab e Barat
‘𝑺𝒉𝒂𝒃 𝒆 𝑩𝒂𝒓𝒂𝒕’ (𝑵𝒊𝒈𝒉𝒕 𝒐𝒇 𝑭𝒐𝒓𝒕𝒖𝒏𝒆 / 𝑺𝒂𝒍𝒗𝒂𝒕𝒊𝒐𝒏) 𝒊𝒔 𝒂𝒏 𝒊𝒎𝒑𝒐𝒓𝒕𝒂𝒏𝒕 𝒏𝒊𝒈𝒉𝒕 𝒇𝒐𝒓 𝑴𝒖𝒔𝒍𝒊𝒎𝒔
- Huzur Ghause Pak in his book ‘Guniytut Talebeen’ and Abu Iyala in his ‘Masnad’ have narrated quoting the Mother of the Faithful, Ayesha Siddiqua (RA) where she has said :
أن النبى صلى الله عليه و آله و سلم كان يصوم شعبان كله و قالت قلت يا رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم أحب شعور إليك أن تصومه شعبان فقال رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم إن الله يكتب فيه على كل نفس ميتات تلك السنت فاحب أن يأتيني ازلى وأنا صائم
Meaning: “ Indeed, the Holy Prophet (sws) used to fast during the entire month of Shaban.” She (Ayesha Siddiqua) said, “I asked him, ‘Oh Rasullullah (sws), why is fasting in Shaban so pleasing to you (even after fasting for the full month of Ramzan) ? In reply, Rasullullah (sws) said, ‘Indeed, Almighty Allah writes the names of the persons who will die this year (till the next Shaban month). I therefore prefer that when my name is written, I am in a state of fasting.’ ”
[Masnad e Abu Iyala, Vol: 8, Pg. 311, Hadees no: 4911]
- Hazrat Ayesha Siddiqua (RA) has said, “ To Rasullullah (sws), the month of Shaban was an exalted month, because this month is near to the month of Ramzan.” [Guniyatut Talebeen]
- Hazrat Anas bin Malek (RA) has said, “ Rasullullah (sws) has pronounced that, ‘ The reason for the naming of this month as ‘Shaban’ is that in this month much blessings are distributed. And the reason for ‘Ramzan’ to be named so, is that sins are burned off this month.” [Guniyatut Talebeen]
- In the night of ‘Shab e Barat’, Almighty Allah descends to the sky of the World and blesses numerous persons :-
Huzur Ghause Pak, in his ‘Guniyatut Talebeen’, Imam Tirmizi, in Abuwabus Sawm, Babu Majaa fi Lailatin Nisfe min Shaban chapter, in his ‘Jamius Sahih’ and Ibn Maja in his ‘Sunan’ has quoted Hazrat Ayesha Siddiqua (RA) :-
عن عائشة قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أ كنت تخافين أن يحيف الله عليك و رسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم ظننت إنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله تبارك وتعالى ينزل ليلة النصف من شعبان إلى سماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب
Meaning: Hazrat Ayesha Siddiqua (RA) narrated that, “ One night I did not find Rasullullah. So, I went out to find him and found him (sws) in Jannatul Baqi. Then he (sws) said, ‘Are you afraid that Allah and his Rasul (sws) will maltreat you ?’ I submitted, ‘Oh, the Rasul (sws) of Allah, I thought that you had gone to one of your other wives.’ Huzur (sws) said, ‘Almighty Allah, descends to the sky of the World on 15 Shaban and forgives more people than the number of hairs on the goats of the Banu Kalb.’ “
[1. Tirmizi Sharif, Vol: 1, Pg: 112 (Deoband Print)
- Ibn Maja, Vol: 1, Pg: 227 (Dawate Islami Print)]
Therefore, to engage in worship and prayers staying up all night in the night of ‘Shab e Barat’ (Night of Fortune / Salvation) on15 Shaban and to visit graves on that night is a ‘Sunnat’ of the Holy Prophet (sws).
- Imam Ahmed ibn Hambal, Imam Tabarani, Imam Ibn Hibban, Imam Bayhaki, and Imam Ibn Maja has narrated :-
عن أبى موسى الاشعرى عن رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم قال إن الله ليطلع فى ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن
Meaning: It has been narrated by Abu Musa Ashari, Rasullullah (sws) has pronounced that, ‘Indeed Almighty Allah manifests Himself in the night of 15 Shaban. Thereafter, he gives salvation to all creation except the hypocrites and those who are resentful and who keep enmity.’
[Ibn Maja, Vol: 1, Pg: 228, Hadees no: 1390 (Dawate Islami Print)
- Imam Bayhaki, has narrated from Hazrat Ayesha Siddiqua (RA) :-
أن رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم قال اتنى جبريل )ع( فقال يا رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم هذه ليلة نصف من شعبان و لله فيها وتقا من النار
Meaning: Indeed, Rasullullah (sws) has said, “ Jibael (SW) came to me and said, ‘Oh, Rasullullah (sws), tonight is the night of 15 Shaban (Shab e Barat) and on this night Almighty Allah absolves and emancipates from the fire of hell.’ ”
- Allama Ibn Taymiya who is followed by all the ‘alems’ (knowledgeable person) of Saudi Arabia, has said in his ‘Fatwae Ibn Taymiya :-
وأما ليلة نصف من شعبان فقد روى فى فضلها أحاديث وعشر ونقل عن صاحبة من الصلف انهم كانوا يصلون فيها
Meaning: Many Hadees have been cited about the 15th date of Shaban, and the Hadees has been narrated by many Companions and the Salafe Saleheen. Indeed they used to say (special) prayers on this night.
[Fatawae Ibn Taymiya, Vol: 23, Pg: 132]
- Imam Shafiyi (RA) has said, ‘Besides Shab e Qadr, there are five other nights, the prayers of which are not unaccepted ; those are, Friday night, the night of the two Eids, the first night of the month of Rajab and the night of 15 Shaban.
- Imam Kustalani has said, “ In this month, ‘Darud’ (Honored Praise) was sent upon Huzur (sws).”
It has been proved from the above short discussion and from the Holy Hadees that ‘Shabe Barat’ (Night of Fortune / Salvation) has come from the time of Allah’s Prophet (sws). The Holy Prophet (sws) used to : worship the whole night of 15 Shaban i.e. ‘Shab e Barat’ night, visit graves, and fasted in the day. So, to engage in such deeds is the ‘Sunnat’ and ‘Shariat’ of the Holy Prophet (sws). On this night, Almighty Allah descends upon the sky of the World and forgives all people except the hypocrites and the those who harbor enmity (towards Allah).
𝑨𝒍-𝒉𝒂𝒋𝒋 𝑴𝒂𝒖𝒍𝒂𝒏𝒂 𝑴𝒖𝒉𝒂𝒎𝒎𝒂𝒅 𝑾𝒂𝒍𝒊𝒖𝒍𝒍𝒂𝒉 𝑸𝒖𝒂𝒅𝒆𝒓𝒊
𝑻𝒓𝒂𝒏𝒔𝒍𝒂𝒕𝒆𝒅 𝒊𝒏𝒕𝒐 𝑬𝒏𝒈𝒍𝒊𝒔𝒉 𝒃𝒚 : 𝑺𝒚𝒆𝒅 𝑴𝒖𝒋𝒕𝒂𝒃𝒂 𝑸𝒖𝒂𝒅𝒆𝒓
শবে বরাত মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত্রি
- ‘হুযুর গওস পাক’ তাঁর ‘গুনিয়াতুত তালেবীনের’ মধ্যে এবং ‘আবু ইয়ালা’ তাঁর ‘মুসনাদে’ উম্মুল মু’মেনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন যে,-
أن النبى صلى الله عليه و آله و سلم كان يصوم شعبان كله و قالت قلت يا رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم أحب شعور إليك أن تصومه شعبان فقال رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم إن الله يكتب فيه على كل نفس ميتات تلك السنت فاحب أن يأتيني ازلى وأنا صائم
অর্থ: “নিশ্চয় নবী পাক (সঃ) পুরো শাবান মাস রোযা রাখতেন।” তিনি (আয়েশা সিদ্দিকা) বলেন, “আমি জিজ্ঞাসা করলাম ইয়া রসুলাল্লাহ্ (সঃ) (রমযানের সারা মাস রোযা রাখার পরেও) শাবানের রোযা আপনার নিকট কেন পছন্দনীয়?” এর উত্তরে রসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন, “নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলা এই মাসেই এই বৎসর (আগের শাবান পর্যন্ত) যত লোকের মৃত্যু হবে তাদের নাম লিখে দেন। সুতরাং আমি পছন্দ করি আমার যখন লিখা হবে, তখন আমি রোযা অবস্থায় থাকি।
[মুসনাদে আবু ইয়ালা, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা-৩১১, হাদীস নং-৪৯১১]হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেন, “রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এঁর নিকট শাবান মাস অতি উত্তম মাস ছিল, কেননা এ মাস রমযান মাসের কাছাকাছি।” [গুনিয়াতুত তালেবীন]
- হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেন, “রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এঁর নিকট শাবান মাস অতি উত্তম মাস ছিল, কেননা এ মাস রমযান মাসের কাছাকাছি।” [গুনিয়াতুত তালেবীন]
- হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, রসুলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে, “এ মাসের নাম শাবান নামকরণের কারণ, এ মাসে অনেক নেকী বাটোয়ারা হয়। আর রমযান নাম হওয়ার কারণ, এ মাসে সব গোনাহ্ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।” [গুনিয়াতুত তালেবীন]
- শবেবরাতের রাতে আল্লাহ্ পাক দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং অগণিত মানুষকে বখশিস করে দেন : –
হুযুর গওস পাক গুনিয়াতুত তালেবীনে, ইমাম তিরমিযী তাঁর জামেউস সহীহ-র আবওয়াবুস সওম, বাবু মাজাআ ফী লায়লাতিন নিসফি মিন শাবান অধ্যায়ে এবং ইবনে মাজা তাঁর সুনানের মধ্যে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন,-
عن عائشة قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أ كنت تخافين أن يحيف الله عليك و رسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم ظننت إنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله تبارك وتعالى ينزل ليلة النصف من شعبان إلى سماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب
অর্থ: হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এক রাতে আমি রসুলুল্লাহ্ (সঃ) কে পেলাম না। সুতরাং আমি তাঁর সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম তো দেখলাম তিনি (সঃ) জান্নাতুল বাকীতে আছেন। তখন তিনি (সঃ) বললেন তোমাকে কি ভয় লাগছে যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসুল (সঃ) তোমার উপর জুলুম করবেন ? আমি আরয করলাম, “হে আল্লাহ্-র রসুল (সঃ) আমি চিন্তা করছিলাম যে, হয়তো আপনি দ্বিতীয় কোনো স্ত্রীর কাছে তশরীফ নিয়ে গেছেন।” হুযুর (সঃ) বললেন, “আল্লাহ্ তা’আলা ১৫ই শাবানের রাতে দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং বনু কলবের কবিলার ছাগল সমূহের সমস্ত লোমের থেকেও বেশি মানুষকে মাগফেরাত করে দেন।”
[১। তিরমিযী শরীফ, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১১২(দেওবন্দ প্রিন্ট)]
২। ইবনে মাজা, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২২৭ (দাওয়াতে ইসলামী প্রিন্ট)]
** অতএব শাবানের ১৫ই তারিখ শবেবরাতের রাত জেগে ইবাদাত বান্দেগী করা এবং সেই রাতে কবর যিয়ারত করা নবী পাক (সঃ) এঁর সুন্নাত।
- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, ইমাম তাবারাণী, ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম বায়হাকী এবং ইমাম ইবনে মাজা রেওয়ায়েত করেছেন যে,-
عن أبى موسى الاشعرى عن رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم قال إن الله ليطلع فى ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن
- অর্থ: আবু মুসা আশআরী হতে বর্ণিত আছে রসুলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা’আলা ১৫ই শাবানের (শবেবরাতের) রাতে প্রকাশ হন। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা সমগ্র সৃষ্টির জন্য মাগফেরাত করে দেন ব্যতীত মুশরিক এবং যারা হিংসা ও শত্রুতা রাখে।
[ইবনে মাজা, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-228, হাদীস নং-১৩৯০,(দাওয়াতে ইসলামী প্রিন্ট)]ইমাম বায়হাকী উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন,-
أن رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم قال اتنى جبريل )ع( فقال يا رسول الله صلى الله عليه و آله و سلم هذه ليلة نصف من شعبان و لله فيها وتقا من النار
- অর্থ: নিশ্চয় রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন যে, আমার নিকট জিব্রাঈল (আঃ) এলেন অতঃপর বললেন যে, ” ইয়া রসুলাল্লাহ (সঃ) ইহা ১৫ই শাবানের (শবেবরাতের) রাত এবং এই রাতে আল্লাহ্ তা’আলা দোজখের আগুন থেকে আজাদ ও নাজাত দান করেন।”আল্লামা ‘ইবনে তায়মিয়া’ যাঁর উপর সারা সৌদী আরবের আলেমরা চলেন, তিনি তাঁর ‘ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়ার’ মধ্যে বলেছেন,-
وأما ليلة نصف من شعبان فقد روى فى فضلها أحاديث وعشر ونقل عن صاحبة من الصلف انهم كانوا يصلون فيها
অর্থ: শাবানের ১৫ তারিখের রাতের উপর অনেক হাদীস এসেছে এবং অনেক সাহাবী ও সলফে সলেহীন হতে এই হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অবশ্যই তাঁরা এই (খাস) রাতে নামায পড়তেন।
[ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়া, খণ্ড-২৩, পৃষ্ঠা-১৩২]
- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেছেন যে,-“শবেকদর ছাড়া এমন পাঁচটি রাত আছে যে যে রাতের দোওয়া কখনো রদ হয়না সেগুলো হলো – জুমাআর রাত, দুই ঈদের রাত, রজব মাসের প্রথম রাত এবং শবেবরাত অর্থাৎ ১৫ই শাবানের রাত।
- ইমাম কুস্তুলানী বলেছেন, এই শাবান মাসে হুযুর (সঃ) এঁর উপর দরূদ শরীফের আয়াত নাযিল হয়েছে।
** উপরোক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও হাদীস পাক সমূহ হতে প্রতীয়মান হল যে ‘শবেবরাত’ আল্লাহ্-র রসুল (সঃ) এঁর যুগ থেকে। রসুলে পাক (সঃ) ১৫ই শাবানের রাত অর্থাৎ শবেবরাতের রাত জেগে ইবাদাত করতেন, কবর যিয়ারত করতেন এবং দিনে রোযা রাখতেন। সুতরাং শবেবরাতের রাতে এবং দিনে এই সমস্ত আমল করা রসুলে পাক (সঃ) এঁর সুন্নাত ও শরীয়ত। এই রাতে আল্লাহ্ পাক পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকল মানুষকে ক্ষমা করে দেন।
আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী