The High Station of ‘Mawla e Kayanat’ / ’মাওলা এ কায়েনাত’ এর উচ্চ মর্যাদা

What is the reason for such a high rank of ‘Mawla e Kayenat’ (The Master of the Universe) ?

Allah, Most Holy has revealed in Ayat 15 of Sura Maeda in the Holy Quran :

 قَدْ جَاءَكُم مِّنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ 

Meaning :— “A light [Muhammad (pbuh)] has come to you from Allah and a clear Book (Quran Majid).”

It is clear from this Ayat of the Holy Quran, from where this light has come. Allah has said, مِّنَ اللَّهِ ‘from Allah’. This means that Muhammad, the Prophet of Allah (pbuh) was with Allah before he arrived here, or how would he arrive from Allah. He had created nothing then. When Allah, Most Holy wished to manifest Himself, it is then, he desired to create. And he said ‘Be’ to his Divine Existence. Then a light became separate from Allah’s Light. From the Light, that the light separated, He was ‘Ahad’, and He remained as ‘Ahad’. And the light that separated from the Light named ‘Ahad’, having a ‘barzakh’ (medium) of ‘Meem’ placed in between, he named him, ‘Ahmad’, and since this light would adopt the ‘barzakh’ of the human form and arrive within humanity to propagate Allah’s religion, Allah, Most Holy revealed, —- ‘A light has come to you from Allah.’ Now, what is the light that Allah created from His Light to create the light of His Beloved, and how it arrived in the world, there are many Holy Hadees about it, but in the interest of bringing this narration to a close, just one Holy Hadees is being quoted below :

عن على قال قال رسول اللّه صلى اللّه عليه وآله وسلم كنت أنا و على نورا بين يدى الله تعالى من قبل أن يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله تعالى آدم سلك ذلك النور فى صلبه فلم يزل الله تعالى ينقلبه من صلبه إلى صلب حتى أقره فى صلب عبد المطلب فقسمه نصفين قسمين فأخرج قسما فى صلب عبد الله و قسما فى صلب عمى أبى طالب فعلى منى و أنا منه لحمه لحمى و دمه دمى فمن أحبه فبحبى أحبه و من ابغضه فببغضى ابغضه

Meaning:- It is narrated by His Holiness Master Ali (AS), that the Holy Prophet (pbuh) said, “Myself and Ali, fourteen thousand years before the creation of Adam (pbuh) was one light in front of Allah. Thereafter, when Allah, Most Holy created Adam (pbuh), he kept that light in his ‘sulb’ (spine/loin). Thereafter, Allah, Most Holy, continued to transfer him from one ‘sulb’ into another ‘sulb’; in this way, it reached the ‘sulb’ of Abdul Muttalib. Thereafter, it broke up into two equal parts. One part came into the ‘sulb’ of His Holiness Abdullah and one part into the ‘sulb’ of my uncle Abu Taleb. Consequently, Ali is from me and I am from Ali. His flesh is my flesh, and his blood is my blood. Therefore, whoever loves him, loves him because of me, and whoever harbours enmity towards him, harbours enmity towards him because of enmity towards me.”     

[1. Nafaesul Menon, Vol: 2, Pg: 243 – 244
2. Ya Nabiul Mawaddat, Pg: 11
3. Arjahul Mataleb, Pg. 459
4. Fazaelus Sahaba Lil Ahmad bin Hambal, Vol: 2, Pg: 662, Had.No: 1130
5. Ar Rizadun Nadara, Vol: 3, Pg: 120
6. Ibne Asakir: Tarikhe Madinatu Dimashq, Vol: 42, Pg:67, Hadees No: 8414,
8415]

This means, that, Allah, Most Holy, taking a Light from Himself, sent one light with Prophethood in the form of the Holy Prophet (pbuh), and another light with ‘Vilayat’ (Authority of Guadianship) in the form of Ali (AS). This is why, the Holy Prophet (pbuh) pronounced, “ I, and Ali are from the same light”. All Mankind has been created from clay ; even the Prophets have been created by Allah, Most Holy from clay. But, Allah, Most Holy has created our Master and Lord, the Apostle, the Holy Prophet (pbuh) and Master Ali (AS), that is, the ‘Panjatan Pak’ (the Holy Five Persons) from His Unique light. And all the progeny that have come and will come to the world through Master Ali (AS) and the Lady of Heaven Her Holiness Fatematuz Zahra (AS) are from the Light of Allah, Most Holy. This is why, Ahmad Reza Khan Barelvi has written in his book ‘Hada Eke Bakshshish’, Vol:2, Pg: 6 :

“Teri nasle pak me hae bachha bachha noor ka. Tu hae ayne noor tera sab gharana noor ka.”

Meaning : “(Oh Holy Prophet) In your Holy Family are infants, all of light. Your are completely (made of) of light, all your family members are (made of) light.”

And our Master and Lord, the King of Kings of Medinipore, the ‘Ghaus e Zama’, ‘Qutubul Akbar’, Syedena wa Murshidena Hazrat Syed Shah Murshid Ali Al Quaderi Al Hasani Al Husaini Al Baghdadi Al Jaddehi Nabiana wa alaihis salatu was salam, who is known as ‘Mawla Pak’ to his disciples and followers, has written in his most precious book ‘Dewane Hazrat Jamal’ :

Noor e mutlaq hae payambar Ya Ali e Murtaza.
Aor tum ho unke mazhar Ya Ali e Murtaza.

Dono tum ho noore dawar Ya Ali e Murtaza.
Balke ek ja(n) o do paykar Ya Ali e Murtaza.

Jitne guzre khalqe me Ali marateb sab se tum,
Misle payambar ho barh kar Ya Ali e Murtaza.
(Dewan Pak)

[‘Ghadeer e Khum er Churanto Ghoshona’, Pg. 93 – 96]

✍️ Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

‘মওলা-এ-কায়েনাত’ পাকের এতো মারতাবা কেন ?

 আল্লাহ্ পাক কোরআন পাকে সূরা মায়েদাহ্’র ১৫ নম্বর আয়াতে এরশাদ ফরমিয়েছেন—-

 قَدْ جَاءَكُم مِّنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ 

অর্থ :—“তোমাদের কাছে এসে গেছে আল্লাহ্ থেকে একটি নূর [মুহাম্মদ (সঃ)] এবং একটি প্রকাশ্য কেতাব ( কোরআন মাজীদ) ।”

 কোরআন পাকের এ আয়াত হতে স্পষ্ট যে এ নূর কোথা থেকে এসেছেন ? আল্লাহ্ পাক বললেন مِّنَ اللَّهِ আল্লাহ্ থেকে । অর্থাৎ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহব (সঃ) এখানে আসার পূর্বে আল্লাহ্–তে ছিলেন, তবেই না তিনি আল্লাহ্ থেকে এলেন । কোন কিছুই তখন সৃষ্টি করেন নি । যখন আল্লাহ্ পাক নিজে প্রকাশ হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তিনি সৃষ্টি করতে চাইলেন । আর নিজের কুদরতী ওজুদ কে বললেন হও । তখন আল্লাহ্-র নূর থেকে একটি নূর আলাদা হয়ে গেল । যে নূর থেকে একটি নূর আলাদা হল তিনি আহাদ, আহাদই থাকলেন । আর আহাদ নামক নূর থেকে যে নূর আলাদা হল আহাদের মাঝে মিমের বারযাখ দিয়ে তার নাম রাখলেন আহমাদ যেহেতু এই নূর বাশারীয়াতের বারযাখ নিয়ে বাশারের মাঝে আসবেন আল্লাহ্’র ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করতে তাই আল্লাহ্ পাক এরশাদ ফরমিয়েছেন—— ” তোমাদের কাছে এসে গেলেন একটি নূর আল্লাহ্ থেকে ।” এখন আল্লাহ্ পাক নিজের নূর থেকে যে তাঁর হাবীবের নূরকে সৃষ্টি করলেন সেই নূরটি কি এবং কিভাবে দুনিয়াতে এল এ ব্যাপারে অনেক হাদীস পাক আছে কিন্তু বর্ণনা সমাপ্তির দিকে আনার জন্য শুধুমাত্র একটি হাদীস পাক উদ্ধৃত করা হল—–

عن على قال قال رسول اللّه صلى اللّه عليه وآله وسلم كنت أنا و على نورا بين يدى الله تعالى من قبل أن يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله تعالى آدم سلك ذلك النور فى صلبه فلم يزل الله تعالى ينقلبه من صلبه إلى صلب حتى أقره فى صلب عبد المطلب فقسمه نصفين قسمين فأخرج قسما فى صلب عبد الله و قسما فى صلب عمى أبى طالب فعلى منى و أنا منه لحمه لحمى و دمه دمى فمن أحبه فبحبى أحبه و من ابغضه فببغضى ابغضه

 অর্থঃ– হযরত মওলা আলী (আঃ) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এরশাদ ফরমিয়েছেন যে, ” আমি এবং আলী আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার চৌদ্দ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ্-র সুম্মুখে একটিই নূর ছিলাম । অতঃপর যখন আল্লাহ্ তায়ালা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন তো ঐ নূরটিকে তাঁর সুল্ বে রাখলেন । অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালা তাকে এক সুল্ ব্ হতে অন্য সুল্ বে স্থান পরিবর্তন করাতে থাকলেন, এই ভাবে আব্দুল মুত্তালিব এর সুল্ ব্ পর্যন্ত উহা এসে পৌঁছাল । অতঃপর সেটা সমান দু ভাগে বিভক্ত হল । এক ভাগ হযরত আব্দুল্লাহ্-র সুল্ বে এল এবং আর এক ভাগ আমার চাচা আবু তালিবের সুল্ বে এল । অতএব আলী আমা হতে এবং আমি আলী হতে । তার গোস্ত আমার গোস্ত , এবং তার রক্ত আমার রক্ত । সুতরাং যে তাকে মুহাব্বত করে সে আমার কারণে তাকে মুহাব্বত করে , আর যে তার সাথে দুশ্ মনি রাখে সে আমার দুশ্ মনির কারণে তার সাথে দুশ্ মনি রাখে ।” 

[১. নাফাযেসুল মেনন , খণ্ড– ২ , পৃষ্ঠা– ২৪৩ —- ২৪৪,
২. ইয়া নাবিউল মাওযাদ্দাত , পৃষ্ঠা — ১১,
৩. আরজাহুল মাতালেব , পৃষ্ঠা — ৪৫৯ ,
৪. ফাযায়িলুস্ সাহাবা লিল আহমাদ বিন হাম্বল , খণ্ড — ২ , পৃষ্ঠা — ৬৬২ , হা — ১১৩০,
৫. আর রিযাদুন নাদারা , খণ্ড — ৩ , পৃষ্ঠা — ১২০
৬. ইবনে আসাকির: তারিখে মাদীনাতু দিমাশক, খন্ড – ৪২, পৃষ্ঠা – ৬৭, হাদীস নং – ৮৪১৪,
৮৪১৫ ]

অর্থাৎ রাসুলে পাক (সঃ) এবং মওলা আলী (আঃ) আল্লাহ্ পাকেরই নূর থেকে একটি নূর কে রেসালাত সহকারে মুহাম্মাদ (সঃ) রুপে এবং আর একটি নূরকে বেলায়াত সহকারে আলী (আঃ) রুপে প্রেরণ করলেন । এই জন্যে রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এরশাদ ফরমিয়েছেন —— ” আমি এবং আলী এক নূর হতে । ” সমগ্র মানব জাতি মাটি থেকে সৃষ্টি, এমনকি সমস্ত পায়গাম্বারকেও আল্লাহ্ পাক মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন । কিন্তু আমাদের আকা ও মওলা নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এবং মওলা আলী (আঃ) তথা পাঞ্জাতন পাক কে আল্লাহ্ পাক তাঁর খাস নূর হতে সৃষ্টি করেছেন । এবং মওলা আলী (আঃ) এবং খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমাতুয্ যাহরা (আঃ) এঁর মাধ্যমে যত আওলাদ পাক দুনিয়াতে এসেছেন ও আসবেন সব আল্লাহ্ পাকের নূর থেকে । তাই আহ্ মাদ রেযা খাঁ বেরেলভী তাঁর “হাদা একে বখশীশ ” কেতাবের দ্বিতীয় খণ্ডের পৃষ্ঠা — ৬ — এর মধ্যে লিখেছেন —–

 “তেরী নসলে পাক মে হ্যায় বাচ্চা বাচ্চা নূর কা । তু হ্যায় আয়নে নূর তেরা সব ঘরানা নূরকা ।” 

অর্থঃ— “(ইয়া রসুলুল্লাহ্ ) আপনার পবিত্র বংশে বাচ্চা বাচ্চা সবাই নূরের । আপনি হুবহু নূর আপনার সমস্ত আহলে বায়েত নূরের ।”

 এবং আমাদের আকা ও মওলা শাহেন শাহে মেদিনীপুর , গওসে যামাঁ , কুতুবুল আকতাব , সাইয়্যেদেনা ওয়া মুর্শিদেনা হযরত সাইয়্যেদ শাহ্ মুর্শিদ আলী আল ক্বাদেরী আল হাসানী আল হুসায়নী আল বাগদাদী আল জাদ্দেহী নবীয়্যেনা ওয়া আলায় হিস্ সালাতো ওয়াস্ সালাম , যিনি ‘মওলা পাক ‘ নামে তাঁর মুরিদান ও ভক্ত বৃন্দের কাছে পরিচিত তিনি তাঁর রচিত মহা মুল্যবান গ্রন্থ ‘দেওয়ানে হযরতে জামাল ‘ এর মধ্যে লিখেছেন,

“নূরে মুতলাক হ্যাঁয় পায়াম্বার ইয়া আলী — এ — মর্তাযা ।
আওর তুম হো উনকে মাযহার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।

দোনো তুম হো নূরে দাওয়ার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।
বালকে এক জাঁ ও দো পায়কার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।

জিতনে গুজরে খালকে মে আ-লী মারাতেব সব সে তুম,
মিসলে পায়গাম্বার হো বাড়হ কার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।”
(দেওয়ান পাক)

[ গদীর এ খুম এর চূড়ান্ত ঘোষণা, পৃষ্ঠা – ৯৩-৯৬]

✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ কাদেরী