The Holy Urs of ‘Qutbe Bari Pak’ / ‘কুতুবে বারী’ পাকের উরস পাক*
On the coming 3rd Falgun (according to the Hindi calendar), 2nd March, Tuesday, in the evening, in the ‘Dargahe Alia e Qutbe Bari Pak’ and in the Quaderia Khankah Sharif Holy Mosque located in Hazrat ‘Rowshan Ganj’ of Purnia District in Bihar, will be observed the Holy ‘Urs’ of ‘Qutbe Bari Pak’, Syedena wa Imamena wa Maulana wa Sheikhena His Holiness Syed Shah ‘Rawshan Ali Al Quaderi’ Al Hasani Al Husaini Al Baghdadi, Allah’s Peace Be upon Him.
‘Qutbe Bari’ Pak is the 29th descendant of the Holy Prophet (Peace Be upon Him and His Family) and the 16th, from the King of Baghdad, His Holiness, Ghause Azam Pak (AS, Peace Be upon Him). He is known as ‘Qutbe Bari’ Pak.
‘Qutbe Bari’ Pak, along with his elder brother, ‘Ghause Sani’ Pak, Syedena wa Imamena wa Maulana wa Sheikhena, His Holiness, Syed Shah ‘Zaker Ali Al Quaderi’ Al Hasani Al Husaini Al Baghdadi (pbuh), and the son of ‘Qutbe Bari’ Pak, Syedena wa Imamena wa Maulana wa Sheikhena, His Holiness, Syed Shah ‘Tofail Ali’ Al Quaderi Al Hasani Al Husaini Al Baghdadi (AS), accompanied by their father, Syedena, His Holiness, Syed Shah Abdullah Al Jilani Al Baghdadi (AS) arrived in India in 1180 Hijri, 1766 AD, through Chandbali Port in Orissa coming from Holy Hama in Syria passing through Holy Baghdad. Thereafter, after traversing many roads by land they arrived at Mangalkote in Bardwan. Two other brothers of ‘Gause Sani’ Pak and ‘Qutbe Bari’ Pak had come with them but they later returned back with their father towards Holy Baghdad. And, ‘Qutbe Bari’ Pak, leaving his son ‘Qutbe Rabbani’ Pak in the care of his uncle in Holy Mangalkote came himself to ‘Hazrat Rawshanganj’ in the Purnia District of Bihar. ‘Ghause Sani’ Pak established permanent residence in Mangalkote.
His Holiness, ‘Ghause Sani’ Pak attained union with Allah in 1192 Hijri, 5th Zilhaj in Mangalkote. And, ‘Qutbe Bari’ Pak, leaving behind this world, united with Almighty Allah in 1194 Hijri. However, there is controversy about the exact date of his death. Some have mentioned the date of his death as 1193 Hijri. For long 14 years, from 1180 Hijri to 1194 Hijri, in the Shahidganj area, he steadfastly undertook rigorous travails and dedicated himself for the service of creation. Since the time of the passing of ‘Qutbe Bari’ Pak till today, his Holy ‘Urs’ is being observed annually with great vigor on 3rd Falgun as per the local Hindi calendar, in the Holy Burial Shrine and the adjoining Quaderia Khankah Sharif Mosque.
As in every year, this year too, the Holy ‘Urs’ of ‘Qutbe Bari’ Pak is going to be observed under the direction and supervision of his only successor and Head of Order, the ‘Ghaus’ and ‘Qutub’ of the modern era, Syedena wa Imamena, wa Maulana wa Sheikhena, His Holiness, Syed Shah Rashid Ali Al Quaderi Al Hasani Al Husaini Al Baghdadi, ‘May He Live Long’.
*Al-Haj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader
আগামী ৩ ফাগুন (হিন্দি ক্যালেন্ডার অনুসারে), ২ রা মার্চ, মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি বিহারের পূর্ণিয়া জেলার হযরত ‘রওশান গঞ্জে’ অবস্থিত ‘দরগাহে আলিয়া এ কুতুবে বারী পাক’ ও কাদেরিয়া খানকাহ শরীফ মসজিদ পাকে ‘কুতুবে বারী’ পাক সাইয়েদেনা ওয়া ঈমামেনা ওয়া মওলানা ওয়া শায়খেনা হযরত সাইয়েদ শাহ্ ‘রওশান আলী আল্ ক্বাদেরী’ আল্ হাসানী আল্ হুসায়্নী আল বাগদাদী সালাওয়াতুল্লাহে আলায়হে এঁর উরসে পাক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
‘কুতুবে বারী’ পাক রসুলেপাক (সাল্লাল্লাহো আলায়হে ওয়া আলেহী ওয়াসাল্লাম) এঁর ২৯তম এবং শাহেনশাহে বাগদাদ হুযুর গওসে আযম পাক (আঃ) এঁর ১৬তম বংশধর। ইনি ‘কুতুবে বারী’ পাক নামে পরিচিত।
‘কুতুবে বারী’ পাক ও তাঁর বড় ভাই জান ‘গওসে সানী’ পাক সাইয়েদেনা ওয়া ঈমামেনা ওয়া মওলানা ওয়া শায়খেনা হযরত সাইয়েদ শাহ্ ‘যাকের আলী আল্ কাদেরী’ আল্ হাসানী আল্ হুসায়নী আল্ বাগদাদী (আঃ), ‘কুতুবে বারী’ পাকের শাহযাদা ‘কুতুবে রব্বানী’ পাক সাইয়েদেনা ওয়া ঈমামেনা ওয়া মওলানা ওয়া শায়খেনা হযরত সাইয়েদ শাহ্ ‘তোফায়েল আলী’ আল্ কাদেরী আল্ হাসানী আল্ হুসায়্নী আল্ বাগদাদী (আঃ) পাক সহ ১১৮০ হিজরী, ১৭৬৬ খ্রীষ্টাব্দে তাঁদের আব্বাজান সাইয়েদেনা হযরত সাইয়েদ শাহ্ আব্দুল্লাহ্ আল্ জীলানী আল্ বাগদাদী (আঃ) এঁর সাথে সিরিয়ার ‘হামা’ শরীফ থেকে ‘বাগদাদ’ শরীফ হয়ে উড়িষ্যার চাঁদবালী বন্দর হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তারপর স্থলপথে বহুপথ পরিভ্রমণ করে বর্ধমানের মঙ্গলকোট শরীফে তশরীফ আনেন। ‘গওসে সানী’ পাক ও ‘কুতুবে বারী’ পাকের আরও দুই ভাই তাঁদের সাথে এসেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তাঁরা তাঁদের আব্বাজানের সাথে বাগদাদ শরীফের উদ্দেশ্যে ফিরে যান। আর ‘কুতুবে বারী’ পাক নিজ শাহযাদা ‘কুতুবে রব্বানী’ পাককে তাঁর চাচাজানের নিকট মঙ্গলকোট শরীফে রেখে নিজে বিহারের পূর্ণিয়া জেলার ‘হযরত রওশানগঞ্জে’ চলে আসেন। ‘গওসে সানী’ পাক মঙ্গলকোট শরীফেই স্থায়ী ভাবে বসবাস স্থাপন করেন।
হিজরী ১১৯২ সনের ৫ ই যিলহজ্জ মঙ্গলকোটে হুযুর ‘গওসে সানী’ পাক বেসাল-এ-হক লাভ করেন। আর ১১৯৪ হিজরীতে ‘কুতুবে বারী’ পাক এ ধরাধাম ত্যাগ করে মহান আল্লাহ্-র সাথে মিলিত হন। অবশ্য তাঁর বেসাল-এ-হকের সঠিক তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ তাঁর বেসাল-এ-হকের তারিখ ১১৯৩ হিজরীর কথা উল্লেখ করেছেন। ১১৮০ হিজরী থেকে ১১৯৪ হিজরী পর্যন্ত সুদীর্ঘ চৌদ্দটি বৎসর তিনি শহীদগঞ্জ অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কঠোর সাধনা করেছেন আর সৃষ্টির খিদমতে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন। ‘কুতুবে বারী’ পাকের বেসাল-এ-হক লাভের পর থেকে অদ্যাবধি সেখানের স্থানীয় হিন্দি ক্যালেন্ডার হিসাবে ৩ ফাগুন প্রত্যেক বৎসর তাঁর মাযার পাক ও তৎসংলগ্ন কাদেরিয়া খানকাহ্ শরীফ মসজিদ পাকে তাঁর উরস্ পাক মহা সমারোহের সহিত পালিত হয়ে আসছে।
প্রত্যেক বৎসরের ন্যায় এ বৎসরও ‘কুতুবে বারী’ পাকের উরস পাক তাঁরই একমাত্র স্থলাভিষিক্ত ও গদ্দীনশিন বর্তমান যামানার গওস ও কুতুব ‘বড় হুযুর পাক’ সৈয়েদেনা ওয়া ঈমামেনা ওয়া মওলানা ওয়া শায়খেনা হযরত সৈয়দ শাহ্ ‘রশীদ আলী আল ক্বাদেরী’ আল্ হাসানী আল্ হুসায়নী আল্ বাগদাদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর পরিচালনায় ও ত্বত্তাবধানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
*আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী*