The Method of Reciting ‘Tahlil Pak’ / ‘তাহলীল পাক’ পড়ার নিয়ম

1. Darud Sharif – 11 times
2. Isme Azam Pak – 11 times
3. Sura Kaferun – 3 times
4. Sura Ikhlas – 3 times
5. Sura Falaq – 3 times
6. Sura Naas – 3 times
7. Sura Fateha – 1 time
8. Isme Azam Pak – 11 times
9. Darud Sharif – 11 times

After reciting the above holy recitals, have to start reciting the ‘Tahlil Pak’ with each bead, which is :

La ilaha illallah
La ilaha illallah
La ilaha illallah
Muhammadur Rasullulah
Ya Sheikh Abdul Quadir Shaianli
llah

After completing the holy recital with the beads, or if one has to leave the recital for a special purpose, the above from number 1 to 9 must be read and then he may get up.

NB : One person, or a group of persons together, taking 1,100 ‘Kabuli Chola Boot’ (as beads), or its multiples (eg. 2,200, 3,300 etc) shall recite the ‘Tahlil Pak’. Each member of the group shall complete as many as possible, and all together shall complete the number, eg. 1,100, 2,200 etc. And no kind of side-talk can be done during the recital. If one speaks during the recital then the ‘Tahlil Pak’ must be recited after reciting from No. 1 to 9 again.

Al-haj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

১। দরূদ শরীফ – ১১ বার
২। ইসম়ে আ’যামপাক – ১১ বার
৩। সুরা কাফিরূন – ৩ বার
৪। সুরা ইখলাস – ৩ বার
৫। সুরা ফালাক – ৩ বার
৬। সুরা নাস – ৩ বার
৭। সুরা ফাতিহা – ১ বার
৮। ইসম়ে আ’যামপাক – ১১ বার
৯। দরূদ শরীফ – ১১ বার

উপরোক্ত পড়া পাক শেষ করে এক একটা দানার সাথে তাহলীল পাক পড়া শুরু করতে হবে আর তা হলো

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্
ইয়া শায়খ আব্দুল কাদির শায়আন্ লিল্লাহ্

দানা পাক পড়া শেষ হলে কিংবা বিশেষ প্রয়োজনে উঠতে হলে পুনরায় উপরের ১ থেকে ৯ নম্বর পর্যন্ত পড়ে উঠে যেতে হবে।

*বিঃদ্রঃ* এক বেক্তি, বা একটি দলে অনেকে একসঙ্গে, ১,১০০ টি ‘কাবুলি বুট’ (দানা হিসাবে), বা তার গুণক (যেমন, ২,২০০, ৩,৩০০ ইত্যাদি) নিয়ে ‘তাহলীল পাক’ পড়বেন । দলের প্রত্যেকে যতগুলি সম্ভব পড়বেন এবং সবাই মিলে সংখ্যাটা পূরণ করবেন, যেমন, ১,১০০, ২,২০০ ইত্যাদি । আর পড়া পাক চলাকালিন কোনো প্রকার কথা বার্তা বলা যাবে না। পড়ার মাঝে কথা বললে পুনরায় ১ থেকে ৯ পর্যন্ত পড়ে তাহলীল পাক পড়া শুরু করতে হবে।

আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী

The High Station of ‘Mawla e Kayanat’ / ’মাওলা এ কায়েনাত’ এর উচ্চ মর্যাদা

What is the reason for such a high rank of ‘Mawla e Kayenat’ (The Master of the Universe) ?

Allah, Most Holy has revealed in Ayat 15 of Sura Maeda in the Holy Quran :

 قَدْ جَاءَكُم مِّنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ 

Meaning :— “A light [Muhammad (pbuh)] has come to you from Allah and a clear Book (Quran Majid).”

It is clear from this Ayat of the Holy Quran, from where this light has come. Allah has said, مِّنَ اللَّهِ ‘from Allah’. This means that Muhammad, the Prophet of Allah (pbuh) was with Allah before he arrived here, or how would he arrive from Allah. He had created nothing then. When Allah, Most Holy wished to manifest Himself, it is then, he desired to create. And he said ‘Be’ to his Divine Existence. Then a light became separate from Allah’s Light. From the Light, that the light separated, He was ‘Ahad’, and He remained as ‘Ahad’. And the light that separated from the Light named ‘Ahad’, having a ‘barzakh’ (medium) of ‘Meem’ placed in between, he named him, ‘Ahmad’, and since this light would adopt the ‘barzakh’ of the human form and arrive within humanity to propagate Allah’s religion, Allah, Most Holy revealed, —- ‘A light has come to you from Allah.’ Now, what is the light that Allah created from His Light to create the light of His Beloved, and how it arrived in the world, there are many Holy Hadees about it, but in the interest of bringing this narration to a close, just one Holy Hadees is being quoted below :

عن على قال قال رسول اللّه صلى اللّه عليه وآله وسلم كنت أنا و على نورا بين يدى الله تعالى من قبل أن يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله تعالى آدم سلك ذلك النور فى صلبه فلم يزل الله تعالى ينقلبه من صلبه إلى صلب حتى أقره فى صلب عبد المطلب فقسمه نصفين قسمين فأخرج قسما فى صلب عبد الله و قسما فى صلب عمى أبى طالب فعلى منى و أنا منه لحمه لحمى و دمه دمى فمن أحبه فبحبى أحبه و من ابغضه فببغضى ابغضه

Meaning:- It is narrated by His Holiness Master Ali (AS), that the Holy Prophet (pbuh) said, “Myself and Ali, fourteen thousand years before the creation of Adam (pbuh) was one light in front of Allah. Thereafter, when Allah, Most Holy created Adam (pbuh), he kept that light in his ‘sulb’ (spine/loin). Thereafter, Allah, Most Holy, continued to transfer him from one ‘sulb’ into another ‘sulb’; in this way, it reached the ‘sulb’ of Abdul Muttalib. Thereafter, it broke up into two equal parts. One part came into the ‘sulb’ of His Holiness Abdullah and one part into the ‘sulb’ of my uncle Abu Taleb. Consequently, Ali is from me and I am from Ali. His flesh is my flesh, and his blood is my blood. Therefore, whoever loves him, loves him because of me, and whoever harbours enmity towards him, harbours enmity towards him because of enmity towards me.”     

[1. Nafaesul Menon, Vol: 2, Pg: 243 – 244
2. Ya Nabiul Mawaddat, Pg: 11
3. Arjahul Mataleb, Pg. 459
4. Fazaelus Sahaba Lil Ahmad bin Hambal, Vol: 2, Pg: 662, Had.No: 1130
5. Ar Rizadun Nadara, Vol: 3, Pg: 120
6. Ibne Asakir: Tarikhe Madinatu Dimashq, Vol: 42, Pg:67, Hadees No: 8414,
8415]

This means, that, Allah, Most Holy, taking a Light from Himself, sent one light with Prophethood in the form of the Holy Prophet (pbuh), and another light with ‘Vilayat’ (Authority of Guadianship) in the form of Ali (AS). This is why, the Holy Prophet (pbuh) pronounced, “ I, and Ali are from the same light”. All Mankind has been created from clay ; even the Prophets have been created by Allah, Most Holy from clay. But, Allah, Most Holy has created our Master and Lord, the Apostle, the Holy Prophet (pbuh) and Master Ali (AS), that is, the ‘Panjatan Pak’ (the Holy Five Persons) from His Unique light. And all the progeny that have come and will come to the world through Master Ali (AS) and the Lady of Heaven Her Holiness Fatematuz Zahra (AS) are from the Light of Allah, Most Holy. This is why, Ahmad Reza Khan Barelvi has written in his book ‘Hada Eke Bakshshish’, Vol:2, Pg: 6 :

“Teri nasle pak me hae bachha bachha noor ka. Tu hae ayne noor tera sab gharana noor ka.”

Meaning : “(Oh Holy Prophet) In your Holy Family are infants, all of light. Your are completely (made of) of light, all your family members are (made of) light.”

And our Master and Lord, the King of Kings of Medinipore, the ‘Ghaus e Zama’, ‘Qutubul Akbar’, Syedena wa Murshidena Hazrat Syed Shah Murshid Ali Al Quaderi Al Hasani Al Husaini Al Baghdadi Al Jaddehi Nabiana wa alaihis salatu was salam, who is known as ‘Mawla Pak’ to his disciples and followers, has written in his most precious book ‘Dewane Hazrat Jamal’ :

Noor e mutlaq hae payambar Ya Ali e Murtaza.
Aor tum ho unke mazhar Ya Ali e Murtaza.

Dono tum ho noore dawar Ya Ali e Murtaza.
Balke ek ja(n) o do paykar Ya Ali e Murtaza.

Jitne guzre khalqe me Ali marateb sab se tum,
Misle payambar ho barh kar Ya Ali e Murtaza.
(Dewan Pak)

[‘Ghadeer e Khum er Churanto Ghoshona’, Pg. 93 – 96]

✍️ Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

‘মওলা-এ-কায়েনাত’ পাকের এতো মারতাবা কেন ?

 আল্লাহ্ পাক কোরআন পাকে সূরা মায়েদাহ্’র ১৫ নম্বর আয়াতে এরশাদ ফরমিয়েছেন—-

 قَدْ جَاءَكُم مِّنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ 

অর্থ :—“তোমাদের কাছে এসে গেছে আল্লাহ্ থেকে একটি নূর [মুহাম্মদ (সঃ)] এবং একটি প্রকাশ্য কেতাব ( কোরআন মাজীদ) ।”

 কোরআন পাকের এ আয়াত হতে স্পষ্ট যে এ নূর কোথা থেকে এসেছেন ? আল্লাহ্ পাক বললেন مِّنَ اللَّهِ আল্লাহ্ থেকে । অর্থাৎ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহব (সঃ) এখানে আসার পূর্বে আল্লাহ্–তে ছিলেন, তবেই না তিনি আল্লাহ্ থেকে এলেন । কোন কিছুই তখন সৃষ্টি করেন নি । যখন আল্লাহ্ পাক নিজে প্রকাশ হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তিনি সৃষ্টি করতে চাইলেন । আর নিজের কুদরতী ওজুদ কে বললেন হও । তখন আল্লাহ্-র নূর থেকে একটি নূর আলাদা হয়ে গেল । যে নূর থেকে একটি নূর আলাদা হল তিনি আহাদ, আহাদই থাকলেন । আর আহাদ নামক নূর থেকে যে নূর আলাদা হল আহাদের মাঝে মিমের বারযাখ দিয়ে তার নাম রাখলেন আহমাদ যেহেতু এই নূর বাশারীয়াতের বারযাখ নিয়ে বাশারের মাঝে আসবেন আল্লাহ্’র ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করতে তাই আল্লাহ্ পাক এরশাদ ফরমিয়েছেন—— ” তোমাদের কাছে এসে গেলেন একটি নূর আল্লাহ্ থেকে ।” এখন আল্লাহ্ পাক নিজের নূর থেকে যে তাঁর হাবীবের নূরকে সৃষ্টি করলেন সেই নূরটি কি এবং কিভাবে দুনিয়াতে এল এ ব্যাপারে অনেক হাদীস পাক আছে কিন্তু বর্ণনা সমাপ্তির দিকে আনার জন্য শুধুমাত্র একটি হাদীস পাক উদ্ধৃত করা হল—–

عن على قال قال رسول اللّه صلى اللّه عليه وآله وسلم كنت أنا و على نورا بين يدى الله تعالى من قبل أن يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله تعالى آدم سلك ذلك النور فى صلبه فلم يزل الله تعالى ينقلبه من صلبه إلى صلب حتى أقره فى صلب عبد المطلب فقسمه نصفين قسمين فأخرج قسما فى صلب عبد الله و قسما فى صلب عمى أبى طالب فعلى منى و أنا منه لحمه لحمى و دمه دمى فمن أحبه فبحبى أحبه و من ابغضه فببغضى ابغضه

 অর্থঃ– হযরত মওলা আলী (আঃ) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এরশাদ ফরমিয়েছেন যে, ” আমি এবং আলী আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার চৌদ্দ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ্-র সুম্মুখে একটিই নূর ছিলাম । অতঃপর যখন আল্লাহ্ তায়ালা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন তো ঐ নূরটিকে তাঁর সুল্ বে রাখলেন । অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালা তাকে এক সুল্ ব্ হতে অন্য সুল্ বে স্থান পরিবর্তন করাতে থাকলেন, এই ভাবে আব্দুল মুত্তালিব এর সুল্ ব্ পর্যন্ত উহা এসে পৌঁছাল । অতঃপর সেটা সমান দু ভাগে বিভক্ত হল । এক ভাগ হযরত আব্দুল্লাহ্-র সুল্ বে এল এবং আর এক ভাগ আমার চাচা আবু তালিবের সুল্ বে এল । অতএব আলী আমা হতে এবং আমি আলী হতে । তার গোস্ত আমার গোস্ত , এবং তার রক্ত আমার রক্ত । সুতরাং যে তাকে মুহাব্বত করে সে আমার কারণে তাকে মুহাব্বত করে , আর যে তার সাথে দুশ্ মনি রাখে সে আমার দুশ্ মনির কারণে তার সাথে দুশ্ মনি রাখে ।” 

[১. নাফাযেসুল মেনন , খণ্ড– ২ , পৃষ্ঠা– ২৪৩ —- ২৪৪,
২. ইয়া নাবিউল মাওযাদ্দাত , পৃষ্ঠা — ১১,
৩. আরজাহুল মাতালেব , পৃষ্ঠা — ৪৫৯ ,
৪. ফাযায়িলুস্ সাহাবা লিল আহমাদ বিন হাম্বল , খণ্ড — ২ , পৃষ্ঠা — ৬৬২ , হা — ১১৩০,
৫. আর রিযাদুন নাদারা , খণ্ড — ৩ , পৃষ্ঠা — ১২০
৬. ইবনে আসাকির: তারিখে মাদীনাতু দিমাশক, খন্ড – ৪২, পৃষ্ঠা – ৬৭, হাদীস নং – ৮৪১৪,
৮৪১৫ ]

অর্থাৎ রাসুলে পাক (সঃ) এবং মওলা আলী (আঃ) আল্লাহ্ পাকেরই নূর থেকে একটি নূর কে রেসালাত সহকারে মুহাম্মাদ (সঃ) রুপে এবং আর একটি নূরকে বেলায়াত সহকারে আলী (আঃ) রুপে প্রেরণ করলেন । এই জন্যে রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এরশাদ ফরমিয়েছেন —— ” আমি এবং আলী এক নূর হতে । ” সমগ্র মানব জাতি মাটি থেকে সৃষ্টি, এমনকি সমস্ত পায়গাম্বারকেও আল্লাহ্ পাক মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন । কিন্তু আমাদের আকা ও মওলা নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ্ (সঃ) এবং মওলা আলী (আঃ) তথা পাঞ্জাতন পাক কে আল্লাহ্ পাক তাঁর খাস নূর হতে সৃষ্টি করেছেন । এবং মওলা আলী (আঃ) এবং খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমাতুয্ যাহরা (আঃ) এঁর মাধ্যমে যত আওলাদ পাক দুনিয়াতে এসেছেন ও আসবেন সব আল্লাহ্ পাকের নূর থেকে । তাই আহ্ মাদ রেযা খাঁ বেরেলভী তাঁর “হাদা একে বখশীশ ” কেতাবের দ্বিতীয় খণ্ডের পৃষ্ঠা — ৬ — এর মধ্যে লিখেছেন —–

 “তেরী নসলে পাক মে হ্যায় বাচ্চা বাচ্চা নূর কা । তু হ্যায় আয়নে নূর তেরা সব ঘরানা নূরকা ।” 

অর্থঃ— “(ইয়া রসুলুল্লাহ্ ) আপনার পবিত্র বংশে বাচ্চা বাচ্চা সবাই নূরের । আপনি হুবহু নূর আপনার সমস্ত আহলে বায়েত নূরের ।”

 এবং আমাদের আকা ও মওলা শাহেন শাহে মেদিনীপুর , গওসে যামাঁ , কুতুবুল আকতাব , সাইয়্যেদেনা ওয়া মুর্শিদেনা হযরত সাইয়্যেদ শাহ্ মুর্শিদ আলী আল ক্বাদেরী আল হাসানী আল হুসায়নী আল বাগদাদী আল জাদ্দেহী নবীয়্যেনা ওয়া আলায় হিস্ সালাতো ওয়াস্ সালাম , যিনি ‘মওলা পাক ‘ নামে তাঁর মুরিদান ও ভক্ত বৃন্দের কাছে পরিচিত তিনি তাঁর রচিত মহা মুল্যবান গ্রন্থ ‘দেওয়ানে হযরতে জামাল ‘ এর মধ্যে লিখেছেন,

“নূরে মুতলাক হ্যাঁয় পায়াম্বার ইয়া আলী — এ — মর্তাযা ।
আওর তুম হো উনকে মাযহার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।

দোনো তুম হো নূরে দাওয়ার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।
বালকে এক জাঁ ও দো পায়কার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।

জিতনে গুজরে খালকে মে আ-লী মারাতেব সব সে তুম,
মিসলে পায়গাম্বার হো বাড়হ কার ইয়া আলী — এ — মুর্তাযা ।”
(দেওয়ান পাক)

[ গদীর এ খুম এর চূড়ান্ত ঘোষণা, পৃষ্ঠা – ৯৩-৯৬]

✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ কাদেরী

Eid e Ghadeer / ঈদ এ গদীর

Today, the 29th July 2021, Thursday, the 18th of Zilhaj is known as the day of Eid e Ghadeer. Returning back from Holy Mecca on the way to Holy Medina after completing Hajj, the Holy Prophet (pbuh) gathered all the Companions as per the command of Allah in a place midway between Holy Mecca and Holy Medina called Ghadeer e Khum, and gave a sermon regarding the ‘Vilayat’ (Authority of Guardianship) of His Holiness Ali (AS). This is why this sermon is also called the ‘Sermon of Ghadeer e Khum’. That day, the number of persons, that is, the Companions, numbered one hundred twenty four thousand.

Allah, Most Holy, revealed on the Holy Prophet (pbuh), Ayat No: 67 of Sura Maida,

يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ۖ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ ۚ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ 

Meaning :- “Oh My Prophet (pbuh), convey what has been revealed upon you from your Lord, and if you do not do such, then you shall have delivered nothing of His Prophetic Message. Allah shall protect you from people. Indeed, Allah does not guide the unbelieving people.”  

Then the Holy Prophet (pbuh) asked all the Companions to stop at a place named as ‘Khum’. And he delivered a sermon in a field in Khum next to a pond. A pond, in the Arabic language is called as ‘Ghadeer’. This is why this sermon is known as the ‘Sermon of Ghadeer e Khum’. A stage was made using the howdahs of camel backs. The Holy Prophet (pbuh) climbed onto that and recited praises and eulogies (of Allah) ; thereafter he said, ‘Very soon I shall respond to the call of Allah and bid my leave from you. I am myself one who is responsible, and you are also responsible in your matters. Shall I see how you will give witness regarding me?’ The people started to say loudly, ‘We give witness that you have carried out the responsibilities of your prophet-hood; you have counseled us; may Allah reward you and do good to you.’

Thereafter, the Master (pbuh) said, ‘Will you not testify to the unity of Allah, my prophet-hood, and the truth of dead people becoming alive on Judgment Day ?’ All said, ‘Yes, we testify to this.’ He (pbuh) said, ‘Oh, Allah, be the witness.’ Thereafter, the Master (pbuh) said, which has been narrated by Imam Tirmizi, quoting from Hazrat Zayed bin Akram (RA) –

قال رسول اللّه صلى عليه وآله وسلم إنِّي تاركٌ فيكم ما إن تمسَّكتُم به لن تضلُّوا بعدي – أحدُهما أعظمُ من الآخَر -:كتاب الله، حبْلٌ ممدودٌ من السَّماء إلى الأرض، وعِترتي أهل بيتي، ولن يتفرَّقَا حتى يرِدَا عليَّ الحوضَ، فانظروا كيف تَخلُفوني فيهما

Meaning : The Prophet (pbuh) said, ‘Indeed, I am leaving two important things in your midst, which these two, if you embrace, you shall never be misguided after me. Out of these two, one is much greater than the other. Allah’s Book (Quran Majid) and my family, my ‘Ahle Bayet’ which is a rope stretched from the sky to the ground. And until these two merge in the ‘Hauze e Kauser’ (Fountain of Kauser) with me, they will never be separated from each other. So, see how you behave with these two after me.’ 
(Tirmizi Sharif, 2nd Vol, Page 220)

Thereafter, the Holy Prophet (pbuh) raised high the hand of Master Ali (AS) and said –

“Yea aiyuhannas innallaha maulaya wa ana maulal mumineena wa ana awla bahim min anfusihim fa min kuntu mawlahu fa haza mawlahu yani alian alaihissalam.”

Translation : ‘Oh, Mankind, indeed, Allah is my Lord, and I am the Master of all the faithful, and I am closer to them than their ‘life-force’ (being). Therefore, of whomsoever, I am the Master, he, that is, Ali (pbuh) is his Master.’

The Holy Prophet (pbuh) uttered this sentence three times, four times according to some. Thereafter, he raised his two hands towards the sky and said –

 اللهم والِ من والاه و عادِ من عاداه ، و احب من احبه ، و ابغض من ابغضه ، و انصر من نصره ، و اخذل من خذله ، و أدر الحق معه حيث دار

‘Oh Allah, whosoever keeps friendship with him, You keep friendship  with him. And whosoever, keeps enmity with him, You keep enmity with him. And whosoever loves him, You love him. And whosoever is spiteful towards him, You be spiteful towards him. And, whosoever helps him, You help him, and whosoever desists from helping him, You also desist from helping him. And, wherever he goes, keep the truth with him.’

  1. Tabarani : Al Mu’jamul Kabir, 3 : 67
  2. Haysami : Majmauj Jawaed, 9 : 164
  3. Ibne Kasir : Al Bedaya Wannehaya, 5 : 463
  4. Ibne Hajar Makki, As Sowaekul Muhrika, Page – 35 (Egypt Print)
  5. Ghadir e Khum er Churanto Ghoshona, Page – 27-29

Special Note : For this reason, this day is known as ‘Eid e Ghadeer’ : meaning, this day is a day of rejoicing for us all.

✍️ Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

আজ ২৯ শে জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১৮ ই যিলহাজ দিনটিকে ঈদ এ গদীর বলা হয়। মক্কা শরীফ থেকে হজ সেরে মদীনা শরীফ ফেরার পথে রসুলে পাক (স:) মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের মধ্যবর্তী স্থান গদীরে খুম নামক স্থানে আল্লাহ তা’লার হুকুমে সমস্ত সাহাবী দিগকে একত্রিত করে হযরত আলী (আ:) এঁর বেলায়াতের উপর একটি ভাষণ প্রদান করেছিলেন। তাই এই ভাষণটিকে গদীরে খুমের ভাষণও বলা হয়। সেদিন উপস্থিত জনতা অর্থাৎ সাহাবীদের সংখ্যা ছিল এক লাখ চব্বিশ হাজার। 

আল্লাহ্ পাক রসুলে পাক (সঃ) এঁর উপর সুরা মাইদার ৬৭ নং আয়াত অবতীর্ণ করলেন,

 يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ۖ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ ۚ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ 

 অর্থ :- “হে আমার রসুল (সঃ) আপনি পৌঁছে দিন যা আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, আর যদি আপনি এমনটি না করেন তাহলে আপনি তাঁর রেসালাতের কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ্ আপনাকে মানুষের থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায় কে হেদায়াত করেন না।” 

তখন রসুলে পাক (সঃ) সমস্ত সাহাবীদিগকে একটি জায়গায় থেমে যেতে বললেন যে জায়গাটির নাম ‘খুম’। আর খুম প্রান্তরে  একটি পুকুরের পাশে ভাষণ দিয়েছিলেন। পুকুরকে আরবী ভাষায় বলে ‘গদীর’। তাই এই ভাষণটিকে গদীরে খুমের ভাষণ বলা হয়। উঁটের পিঠের হাওদা গুলো দিয়ে স্টেজ তৈরী করা হল। রসুলে পাক (স:) তাতে আরোহন করে আল্লাহ পাকের হামদ ও সানা পড়লেন অতঃপর বললেন ঃ আমি অতি শীঘ্রই আল্লাহ-র ডাকে সাড়া দিয়ে তোমাদের থেকে বিদায় নেব। আমি নিজেও একজন দায়িত্বশীল এবং তোমরাও তোমাদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। আমি দেখবো তোমরা আমার ব্যাপারে কিভাবে সাক্ষ্য দিবে?  জনগণ উচ্চস্বরে বলতে লাগল আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি আপনার রেসালাতের দায়িত্ব পালন করেছেন; আমাদেরকে নসীহত করেছেন, আল্লাহ আপনাকে জাযা ও খায়র প্রদান করুন।

অতঃপর হুযুর (সঃ) বললেন ঃতোমরা কি আল্লাহ-র একত্ববাদ, আমার নবুয়াত ও কেয়ামতের দিন মৃত ব্যক্তিদের জীবিত হওয়ার সেই সত্য কথার সাক্ষী প্রদান করবে না? সকলেই বলল হ্যাঁ সাক্ষ্য দিচ্ছি। তিনি (সঃ) বললেন হে আল্লাহ সাক্ষী থেকো। অতঃপর হযুর (সঃ) বললেন যা ইমাম তিরমিযী হাযরত যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন,

قال رسول اللّه صلى عليه وآله وسلم إنِّي تاركٌ فيكم ما إن تمسَّكتُم به لن تضلُّوا بعدي – أحدُهما أعظمُ من الآخَر -:كتاب الله، حبْلٌ ممدودٌ من السَّماء إلى الأرض، وعِترتي أهل بيتي، ولن يتفرَّقَا حتى يرِدَا عليَّ الحوضَ، فانظروا كيف تَخلُفوني فيهما

অর্থ :- রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন ” নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে এমন দুটি গুরুত্বপূরন জিনিস ছেড়ে যাচ্ছি যদি তোমরা সে দুটিকে আকড়ে ধর তাহলে আমার পর তোমরা কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না। এ দুটির মধ্যে একটি অপরটি অপেক্ষা অত্যন্ত বড়।  আল্লাহ-র কেতাব (কুরান মজীদ) এবং আমার খানদান আমার আহলে বায়েত আসমান থেকে যমীন পর‍্যান্ত বিসতৃত রশি।আর এ দুটি হাওযে কওসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর‍্যন্ত কখনোই একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। সুতরাং দেখ যে,তোমরা  আমার পর এদুটির সাথে কিরূপ ব্যবহার কর।”
 (তিরমিযী শরীফ, ২য় খণ্ড, ২২০ পৃষ্ঠা)

তারপর রসুলুল্লাহ (সঃ) মওলা আলী (আঃ) এর হাত উচু করে তুলে ধরে বললেন,-

“ইয়া আয়্যোহাননাস ইন্নাল্লাহা মওলায়া ওয়া আনা মওলাল মু’মিনীনা ওয়া আনা আওলা বেহিম মিন আনফুসিহিম ফা মান কুনতু মওলাহু ফা হাযা মওলাহু য়া’নি আলীয়ান আলায়হিসসালাম।”

তরজমা ঃ “হে মানব জাতি নিঃসন্দেহে আল্লাহ আমার মওলা আর আমি সমগ্র মুমিনদিগের মওলা এবং আমি তাদের জানের থেকেও অধিক নিকটবরতী। সুতরাং আমি যার মওলা ইনি অর্থাৎ আলী (আঃ) তার মওলা। “

এই বাক্যটি নবী পাক (সঃ) তিন বার কারো মতে চারবার পুনরাবৃত্তি করলেন। অতঃপর আসমানের দিকে হাত দুটি তুলে বললেন, 

اللهم والِ من والاه و عادِ من عاداه ، و احب من احبه ، و ابغض من ابغضه ، و انصر من نصره ، و اخذل من خذله ، و أدر الحق معه حيث دار

” হে আল্লাহ যে ইনার সাথে বন্ধুত্ব্ব রাখে তুমি তার সাথে বন্ধুত্ব রাখো।  এবং যে ইনার সাথে শত্রুতা রাখে তুমি তার সাথে শত্রুতা রাখ।  এবং যে ইনাকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস।  এবং যে ইনাকে হিংসা করে তুমি তাকে হিংসা কর। এবং যে ইনাকে সাহায্য করে তুমি তাকে সাহায্য কর এবং যে ইনাকে সাহায্য করা ছেড়ে দেয় তুমিও তাকে সাহায্য করা ছেড়ে দাও। এবং যে স্থানেই ইনি যান সত্যকে ইনার সাথে রাখ। “

১। তাবারাণী : আল মু’জামুল কবীর, ৩ : ৬৭
২। হায়সামী : মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৯ : ১৬৪
৩। ইবনে কাসীর : আল বেদায়া ওয়াননেহায়া, ৫ : ৪৬৩
৪। ইবনে হজর মক্কী : আস সোয়ায়েকুল মুহরিকা প্রিষ্ঠা – ৩৫ (মিশর প্রিন্ট)
৫। গদীর এ খুম এর চূড়ান্ত ঘোষণা, প্রিষ্ঠা – ২৭-২৯

বিঃদ্রঃ এই কারণে এই দিনটি কে ঈদ এ গদীর বলা হয়। অর্থাত এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য খুব আনন্দের দিন।

✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী

Interrogation on Judgment Day about Wilayat of Ali (AS) / কেয়ামতের দিন আলী (আঃ) এঁর বেলায়াত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা

*On the Day of Judgment, questions will be asked about the ‘Wilayet’ (Spiritual Authority) of Ali (AS)*

On the Day of Judgment, all will be interrogated about the ‘Wilayet’ (Spiritual Authority) of the Maula e Kayenat (Master of Creation). In this regard, Allah, Most High has revealed in the 23rd Section, Sura Assaffat (37), Ayat no. 24 :

وَقِفُوهُمْ ۖ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ

Meaning, “Stop them, indeed they shall be interrogated.”

In the explanation of this Ayat, Ibne Hafar Makki in his books ‘Assowaekul  Muhrika’ and ‘Jawwaherul Akhbar’, and other learned scholars of the Sunnat (traditions of the Prophet) in their  own books have narrated that Hazrat Ibne Abbas (RA) and Hazrat Abu Sayeed Khudri (RA) have narrated that the Holy Prohet (pbuh) has said :

 إنهم مسئولون عن ولاية على بن ابى طالب 

Meaning : “On the Day of Judgment, the people shall be  interrogated about the ‘Wilayat’ (Spiritual Authority) of Hazrat Ali (AS).”

[ 1. Mawaddatul Qurba fi Fazaele Aale Aba, Mawaddat – 9, Hadis no – 18
2. Ibne Hajar Makki : Assowaekul Muhrika, Pg. – 503

✍️ Al-Hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

*কেয়ামতের দিন আলী (আঃ) এঁর বেলায়াত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে*

    কেয়ামতের দিন সকলকে মওলা -এ -কায়েনাত পাকের বেলায়াতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ব্যাপারে ২৩ পারা, সুরা আসসাফফাত (৩৭) এর ২৪ নং আয়াতে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমিয়েছেন –

وَقِفُوهُمْ ۖ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ

অর্থাৎ, “তাদের কে থামাও, নিশ্চয় তারা জিজ্ঞাসিত হবে।”

এই আয়াতের তফসীরে, “ইবনে হজর মক্কী” তার “আসসোয়ায়েকুল মুহরিকা”  ও “জওয়াহেরুল আখবার” কেতাবে, এবং আরও অন্যান্য ওলামায়ে আহলে সুন্নাত নিজের নিজের কেতাবে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এবং হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হযরত রসুলে খোদা (সঃ) থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, তিনি বলেছেন –

 إنهم مسئولون عن ولاية على بن ابى طالب 

      অর্থ : “কেয়ামতের দিন লোকেদের হতে আলী ইবনে আবী তালিব (আঃ) এঁর বেলায়াতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। “

 [ ১. মাওয়াদ্দাতুল কুরবা ফী ফাযায়েলে আলে আবা, মাওয়াদ্দাত-৯, হাদীস নং-১৮
২. ইবনে হজর মক্কী : আসসোওয়ায়েকুল মুহরিকা – পৃ – ৫০৩ ]

✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ ক্বাদেরী

Hazrat Umer said, ‘Ali (AS) is my Lord’ / হযরত উমর বললেন, ‘আলী (আঃ) আমার মওলা’

𝐇𝐚𝐳𝐫𝐚𝐭 𝐔𝐦𝐞𝐫 𝐬𝐚𝐢𝐝, ‘𝐀𝐥𝐢 (𝐀𝐒) 𝐢𝐬 𝐦𝐲 𝐋𝐨𝐫𝐝 𝐌𝐚𝐬𝐭𝐞𝐫’.

عن سالم قیل لعمر انک تصنع بعلی شیاء ما تصنعہ باحد من اصحاب رسول اللہ صلی اللہ علیہ و الہ و سلم قال انہ مولای

𝗠𝗲𝗮𝗻𝗶𝗻𝗴 : It has been narrated from Hazrat Salem that, Hazrat Umer was asked, ‘You behave with Hazrat Ali (AS) (reverently) such as you do not behave with other blessed companions.’ Hazrat Umer said in reply, ‘Indeed, he (Hazrat Ali) is my Lord Master.’

[ 1. Muhibbe Tabari : Ar Riyadun Nadara fi Manakebil Asara, Vol: 3, Pg: 128Ibne Asakir : Tarikhe Dimash Al Kabir, Vol: 45,Pg: 178]

2. Ibne Asakir : Tarikhe Dimash Al Kabir, Vol: 45,Pg: 178]

✍️ 𝑨𝒍-𝒉𝒂𝒋𝒋 𝑴𝒂𝒖𝒍𝒂𝒏𝒂 𝑴𝒖𝒉𝒂𝒎𝒎𝒂𝒅 𝑾𝒂𝒍𝒊𝒖𝒍𝒍𝒂𝒉 𝑸𝒖𝒂𝒅𝒆𝒓𝒊
𝑻𝒓𝒂𝒏𝒔𝒍𝒂𝒕𝒆𝒅 𝒊𝒏𝒕𝒐 𝑬𝒏𝒈𝒍𝒊𝒔𝒉 𝒃𝒚 : 𝑺𝒚𝒆𝒅 𝑴𝒖𝒋𝒕𝒂𝒃𝒂 𝑸𝒖𝒂𝒅𝒆𝒓

হযরত উমর বললেন, ‘ আলী (আঃ) আমার আকা ও মওলা ’

عن سالم قیل لعمر انک تصنع بعلی شیاء ما تصنعہ باحد من اصحاب رسول اللہ صلی اللہ علیہ و الہ و سلم قال انہ مولای

অর্থ : হযরত সালেম হতে বর্ণিত  আছে  যে, হযরত উমর কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি হযরত আলী (আঃ) এঁর সাথে এমন (সম্মানীয়) ব্যবহার করেন যা অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামগণের সংগে করেন না! হযরত উমর উত্তরে বললেন, “নিশ্চয় তিনি (হযরত আলী) আমার আকা ও মওলা।”

[ ১. মুহিব্বে তাবারী : আর রিয়াদুন নাদারা ফী মানাকেবিল আসারা, খ -৩, পৃ -১২৮
২. ইবনে আসাকির : তারীখে দিমশক আল কবীর, খ -৪৫, পৃ -১৭৮ ]

✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী

Maula Ali (AS), the Maula of Hazrat Abu Bakr and Umer / মওলা আলী (আঃ), হাযরত আবুবকর ও উমরের মওলা

𝗠𝗮𝘂𝗹𝗮 (𝗠𝗮𝘀𝘁𝗲𝗿 / 𝗟𝗼𝗿𝗱) 𝗔𝗹𝗶 (𝗔𝗦) 𝗯𝗲𝗶𝗻𝗴 𝗴𝗿𝗲𝗲𝘁𝗲𝗱 𝗯𝘆 𝗛𝗮𝘇𝗿𝗮𝘁 𝗔𝗯𝘂 𝗕𝗮𝗸𝗿 𝗮𝗻𝗱 𝗨𝗺𝗲𝗿 𝗮𝗻𝗱 𝘁𝗵𝗲𝗶𝗿 𝗮𝗰𝗸𝗻𝗼𝘄𝗹𝗲𝗱𝗴𝗺𝗲𝗻𝘁 𝗼𝗳 𝗵𝗶𝗺 𝗮𝘀 𝘁𝗵𝗲𝗶𝗿 𝗠𝗮𝘀𝘁𝗲𝗿 / 𝗟𝗼𝗿𝗱

  1. On the ‘Day of Ghadeer e Khum’ when the Holy Prophet (pbuh) raised high the hands of Hazrat Ali (AS) in front of one hundred twenty four thousand people and declared, “To whomsoever that I am the Lord, Ali is his Lord”, there was commotion among the people and everyone congratulated Maula Ali (AS). Among the well known people, the two people who first came to greet him, were Hazrat Abu Bakr and Hazrat Umer. They came forward from among the people present and greeted him by embracing him and said :

١. بخ بخ لك يابن أبي طالب أصبحت و امسيت مولاى و مولى كل مؤمن و مؤمنة

𝐌𝐞𝐚𝐧𝐢𝐧𝐠 : Hurrah ! Hurrah ! Oh, son of Abu Taleb, you shall be the Lord of all faithful man and woman morning and evening (always).

  1. Ahmed ibne Hambal narrated in his Musnad, ‘ Immediately after the sermon of the Holy Prophet (pbuh), Hazrat Umer came and said :

٢. هنيأ لك يابن أبي طالب أصبحت و امسيت مولى كل مؤمن و مؤمنة

𝐌𝐞𝐚𝐧𝐢𝐧𝐠 : “Greetings to you, oh, the son of Abu Taleb, from now on you shall spend night and day as the Lord of every faithful man and woman.”

[ 1. Musnad e Ahmed bin Hambal, Vol: 1, Page: 432

  1. Musnad e Ahmed bin Hambal, Vol: 4, Page: 248]
  2. The eminent ‘mufassir’ (exegetic scholar (of Quran)) Allama Fakhruddin Razi (RA) in his famous exegetic book, ‘Tafsir e Kabir’ narrated ascribing Hazrat ibne Abbas (RA), Hazrat Bara Ibne Azeb (RA), and Hazrat Muhammad bin Ali (AS) that, ‘when the Holy Prophet (pbuh) said about Ali (AS), ‘To whomsoever I am the Lord, Ali is his Lord’, then Hazrat Umer came and embraced Maula Ali (AS) and said :

هنيأ لك يابن أبي طالب أصبحت وامسيت مولاى ومولى كل مؤمن و مؤمنة

𝐌𝐞𝐚𝐧𝐢𝐧𝐠 : “ Oh, the son of Abu Taleb, greetings to you ! From today, you have become the Lord of myself and all the faithful man and woman.”

[ 1. Tafsir e Kabir, Vol: 12, Page: 53

  1. Mawaddatul Qurba, Mawaddat: 5, Ha: 50]
  2. In the book, ‘Faizul Qadir, Vol: 6, Pg: 217 and Ibne Hajar Makki in his written book ‘As Sawaekul Muhrika’ has narrated that, Hazrat Abu Bakr and Umer, both came to Hazrat Ali (AS) and said :

امسيت يابن أبي طالب مولى كل مؤمن و مؤمنة

𝐌𝐞𝐚𝐧𝐢𝐧𝐠 : “Oh, the son of Abu Taleb, you have become the Lord of every faithful man and woman.”

  1. Khatibe Baghdadi, in his ‘Tarikhe Baghdad’, has said in the 7th Volume, Page 290, that Hazrat Umer said :

بخ بخ لك يابن أبي طالب أصبحت مولاى و مولى كل مسلم

𝐌𝐞𝐚𝐧𝐢𝐧𝐠 : ‘Hurrah ! Hurrah ! Oh, the son of Abu Taleb ! From today you have become my Lord and that of every Muslim.’

  1. The Holy Hadees that has been narrated by a great multitude of Hadees narrators in their own books of Hadees, including in Mishkatul Masabih, where Hazrat Umer greeted Maula Ali (AS) as his Lord, and that is :

و عن البراء بن عازب و زيد بن ارقم أن رسول الله صلى الله عليه و اله و سلم لما نزل بغدير خم أخذ بيد على فقال الستم تعلمون انى أولى بالمؤمنين من أنفسهم قالوا بلى قال الستم تعلمون انى أولى بالمؤمن من نفسه قالوا بلى فقال اللهم من كنت مولاه فعلى مولاه اللهم وال من والاه و عاد من عاداه فلقيه عمر بعد ذلك فقال له هنيـأ لك يابن أبي طالب أصبحت و امسيت مولى كل مؤمن و مؤمنة

“It has been narrated by Hazrat Bara bin Azeb and Hazrat Zayed bin Arkam (RA) that, when the Holy Prophet dismounted at Ghadeer e Khum, he held the hands of Hazrat Ali (AS) and said, ‘Do you know that I am nearer than the life-force of the faithful ?’ All replied, ‘Yes !’ He said, ‘ Do you know that I am nearer to every faithful than their life-force ?’ All replied, ‘Yes !’. Then the Master (pbuh) said, ‘Oh, Allah ! To whomsoever I am the Lord, Ali is his Lord. Oh, Allah ! You keep friendship with him, who keeps friendship with Ali, and You keep enmity with him, who keeps enmity with Ali.’

Thereafter, Hazrat Umer embraced him (Ali) and said, ‘Oh, the son of Abu Taleb, felicitations to you. From this day, you shall be the Lord of every faithful man and woman, in the mornings and evenings.’

[ 1. Mishkat Sharif, Pg. – 565

  1. Ahmed bin Hambal : Al-Musnad, Vol: 4, Pg: 281
  2. Ibne Abi Shaeba : Al-Musannaf, Vol: 12,Pg: 78
  3. Hussamuddin Hindi : Kanzul Ummal, Vol: 13, Pg: 133 – 134
  4. Ibne Asakir : Tarikhe Dimashk Al Kabir, Vol: 45, Pg: 147 – 148
  5. Ibne Kasir : Al Bedaya wan Nehaya, Vol: 4, Pg: 169
  6. Zahbi : Siyaru A’lamun Nubala, Vol: 2, Pg: 623 624
  7. Ibne Asir : Usdul Gaba, Vol: 4, Pg: 103
  8. Waliullah Quaderi : Ghadir e Khum er Churanto Ghoshona (The Final
    Declaration of Ghadeer e Khum), Pg: 33 – 34]

✍️ 𝑨𝒍-𝒉𝒂𝒋𝒋 𝑴𝒂𝒖𝒍𝒂𝒏𝒂 𝑴𝒖𝒉𝒂𝒎𝒎𝒂𝒅 𝑾𝒂𝒍𝒊𝒖𝒍𝒍𝒂𝒉 𝑸𝒖𝒂𝒅𝒆𝒓𝒊
𝑻𝒓𝒂𝒏𝒔𝒍𝒂𝒕𝒆𝒅 𝒊𝒏𝒕𝒐 𝑬𝒏𝒈𝒍𝒊𝒔𝒉 𝒃𝒚 : 𝑺𝒚𝒆𝒅 𝑴𝒖𝒋𝒕𝒂𝒃𝒂 𝑸𝒖𝒂𝒅𝒆𝒓

মওলা আলী (আঃ) কে হাযরত আবুবকর ও উমরের অভিনন্দন এবং তাঁকে নিজেদের মওলা হিসাবে স্বীকৃতি দান

১. গদীর এ খুমের দিন যখন রসুলে পাক (সঃ) এক লাখ চব্বিশ হাজার জন সমক্ষে হযরত আলী (আঃ) এঁর হাত উঁচু করে তুলে ধরে ঘোষণা দিলেন যে, “আমি যার মওলা আলী তার মওলা “তখন মানুষের মাঝে শোরগোল শুরু হয়ে গেল এবং মওলা আলী (আঃ) কে সবাই মোবারক বাদ জানালেন। সুপরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বপ্রথম যে দুই ব্যক্তি সম্বর্ধনা জানালেন তাঁরা হলেন হযরত আবুবকর ও হযরত উমর। তাঁরা উপস্থিত জনতার ভিতর থেকে এগিয়ে এলেন এবং হযরত আলী (আঃ) এঁর সাথে কোলাকোলি করে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন –

١. بخ بخ لك يابن أبي طالب أصبحت و امسيت مولاى و مولى كل مؤمن و مؤمنة

 অর্থ : 1.বাহবা! বাহবা! হে আবু তালিবের শাহযাদা আপনি আমার এবং প্রত্যেক মু'মিন পুরুষ ও মহিলার মওলা হয়ে সকাল ও সন্ধ্যা করবেন।"

 2. আহমদ ইবনে হাম্বল নিজের মুসনাদে বর্ণনা করেছেন রসুলে পাক (সঃ) এঁর খুতবার পরেই হযরত উমর এসে বললেন-

٢. هنيأ لك يابن أبي طالب أصبحت و امسيت مولى كل مؤمن و مؤمنة

 অর্থ : "আপনাকে শুভেচ্ছা হে আবু তালিবের শাহযাদা আজ হতে আপনি প্রত্যেক মু'মিন পুরুষ ও নারীর মওলা হয়ে দিন ও রাত কাটাবেন।"
                                                                       [১. মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, খ-১, পৃ :-৪৩২]                                             ২. মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, খ-৪, পৃ:-২৪৮]

 3. প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা ফাখরুদ্দীন রাযী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত তফসীর গ্রন্থ 'তফসীর এ কবীর' এর মধ্যে 'হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)', 'হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ)', ও 'হযরত মুহাম্মদ বিন আলী (আঃ)' হতে রেওয়ায়েত করেন যে, যখন রসুলুল্লাহ (সঃ) হযরত আলী (আঃ) এঁর সম্বন্ধে বললেন, "আমি যার মওলা আলী তার মওলা... " তখন হযরত উমর এসে মওলা আলী (আঃ) এঁর সাথে কোলাকোলি করে বললেন-

هنيأ لك يابن أبي طالب أصبحت وامسيت مولاى ومولى كل مؤمن و مؤمنة

 অর্থ : " হে আবু তালিবের শাহযাদা আপনাকে অভিনন্দন!  আজ থেকে আপনি আমার এবং প্রত্যেক মু'মিন পুরুষ ও মহিলার মওলা হয়ে গেলেন।"
                                                                          [ ১. তফসীরে কবীর, খ-১২, পৃ - ৫৩                                                                           ২.মাওয়াদ্দাতুল কুরবা, মাওয়াদ্দাত-৫, হা-৫০]

 4. কেতাব ফায়যুল কাদীর, খণ্ড-৬, পৃ -২১৭ এবং ইবনে হজর মক্কী তাঁর প্রণীত "আস সোওয়ায়েকুল মুহরিকা" কেতাবে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আবুবকর ও উমর উভয়েই হযরত আলী (আঃ) এঁর কাছে এসে বললেন-

امسيت يابن أبي طالب مولى كل مؤمن و مؤمنة

  অর্থ : " হে আবু তালিবের শাহযাদা আপনি প্রত্যেক মু'মিন পুরুষ ও মহিলার মওলা হয়ে গেলেন।"
  1. খতীবে বাগদাদী, তাঁর তারীখে বাগদাদের ৭ম খন্ড, ২৯০ পৃষ্ঠায় আছে, হযরত উমর বললেন-

بخ بخ لك يابن أبي طالب أصبحت مولاى و مولى كل مسلم

অর্থ: বাহবা! বাহবা! হে আবু তালিবের শাহজাদা আজ হতে আপনি আমার ও প্রত্যেক মুসলমানের মওলা হয়ে গেলেন।

  1. মিশকাতুল মাসাবীহ সহ মুহাদ্দিস গনের এক বিশাল জামাআত নিজ নিজ হাদীস গ্রন্থে গদীরে খুমের যে হাদীস পাকটি রেওয়ায়েত করেছেন যাতে হযরত উমর, মওলা আলী (আঃ) কে নিজের মওলা হিসাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সেটি হল –

و عن البراء بن عازب و زيد بن ارقم أن رسول الله صلى الله عليه و اله و سلم لما نزل بغدير خم أخذ بيد على فقال الستم تعلمون انى أولى بالمؤمنين من أنفسهم قالوا بلى قال الستم تعلمون انى أولى بالمؤمن من نفسه قالوا بلى فقال اللهم من كنت مولاه فعلى مولاه اللهم وال من والاه و عاد من عاداه فلقيه عمر بعد ذلك فقال له هنيـأ لك يابن أبي طالب أصبحت و امسيت مولى كل مؤمن و مؤمنة

 " হযরত বারা বিন আযেব ও হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন রসুলুল্লাহ (সঃ) গদীরে খুমে অবতরন করলেন তো হযরত আলী (আঃ) এঁর হাত ধরে বললেন, "তোমরা কি জান যে আমি নিশ্চয় সমস্ত মু'মিন গনের জানের থেকেও অধিক নিকটবর্তী? " সকলে বলল, "হ্যাঁ !" তিনি বললেন, "তোমরা কি জান যে, আমি প্রত্যেক মু'মিনের জানের থেকেও অধিক নিকটবর্তী?" সকলে বলল হ্যাঁ! তখন হুযুর (সঃ) বললেন, "হে আল্লাহ!  আমি যার মওলা আলী তার মওলা। হে আল্লাহ! তুমি তার সাথে বন্ধুত্ব রাখ যে আলীর সাথে বন্ধুত্ব রাখে এবং তুমি তার সাথে শত্রুতা রাখ যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে।"

 অতঃপর হযরত উমর তাঁর (আলীর) সাথে কোলাকুলি করলেন এবং তাঁকে বললেন যে, "হে আবু তালিবের শাহযাদা আপনাকে মোবারকবাদ।  আজ হতে আপনি প্রত্যেক মু'মিন পুরুষ ও মহিলার মওলা হয়ে সকাল ও সন্ধ্যা করবেন।"

[ ১. মিশকাত শরীফ, পৃ – ৫৬৫
২. আহমাদ বিন হাম্বল : আল-মুসনাদ, খ-৪, পৃ – ২৮১
৩. ইবনে আবী শায়বা : আল-মুসান্নাফ, খ-১২, পৃ – ৭৮
৪. হুসসামুদ্দীন হিন্দী : কানযুল উম্মাল, খ-১৩, পৃ – ১৩৩-১৩৪
৫.ইবনে আসাকির : তারীখে দিমশক আল কবীর, খ-৪৫, পৃ – ১৪৭-১৪৮
৬. ইবনে কাসীর : আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, খ-৪, পৃ – ১৬৯
৭. যাহবী : সিয়ারু আ’লামুন নুবালা, খ-২, পৃ – ৬২৩-৬২৪
৮. ইবনে আসীর : উসুদুল গাবা, খ-৪, পৃ -১০৩
৯. গদীর এ খুম এর চূড়ান্ত ঘোষণা, পৃষ্ঠা- ৩৩-৩৪]

✍️ আলহাজ্জ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ ক্বাদেরী

Day of Ghadeer e Khum / গদীর এ খুমের দিবস

أن النبي ( صلَّى الله عليه و آله ) قال يوم غدير خم : ” من كنت مولاه فعلي مولاه ، اللهم والِ من والاه و عادِ من عاداه ، و احب من احبه ، و ابغض من ابغضه ، و انصر من
” . نصره ، و اخذل من خذله ، و أدر الحق معه حيث دار

و قال ابن حجر حول حديث الغدير : انه حديث صحيح لا مرية فيه ، و قد أخرجه جماعة كالترمذي و النسائي و احمد ، و طرقه كثيرة جدا ، و من ثم رواه ستة عشر صحابيا ، و في رواية لأحمد أنه سمعه من النبي ( صلَّى الله عليه و آله ) ثلاثون صحابيا و شهدوا به لعلي لما نُوزع أيام خلافته 1 … و كثيرا من أسانيدها صحاح و حِسان ، و لا التفات لمن قدح في صحته.[إبن حجر مكى: الصواعق المحرقة صفحه٣٥، طبعة: مصر]

Meaning : Certainly the Holy Prophet (sws) said on the Day of Ghadeer e Khum, “Whosoever’s Master that I am, Ali is his Master. Oh Allah, keep friendship with him who keeps friendship with Ali, and keep enmity with him who keeps enmity with Ali, and You love him who loves Ali, and You keep animosity with him who has animosity with Ali, and You help him who helps Ali, and You turn Your Face away from him who turns his face away from Ali, and keep Justice on that side, where Ali happens to be.”

And Ibne Hajar said with respect to the Hadees of Ghadeer that, ‘Certainly this Hadees is genuine, there is no doubt in it.’ And a fellowship like Tirmizi, Nasai, and Ahmed bin Hambal has narrated it. And there are many transmitters of this. Thereafter it is narrated by sixteen Companions. And according to the narration of Ahmed bin Hambal, this Hadees was heard by thirty Companions from the Holy Prophet (sws), and they had testified to the succession of Ali (AS) through this Hadees. The transmission line of this is numerous and the transmissions were genuine and authentic.

[ Ibne Hajar Makki : ‘As Sawwaekul Muhrika’, Pg. 35 (Egypt print)]

✍️ Al-Hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

অর্থ : নিশ্চয় নবী পাক (সঃ) গদীর এ খুমের দিবসে বললেন, “আমি যার মওলা আলী তার মওলা। হে আল্লাহ্ তুমি তার সাথে বন্ধুত্ব রাখ যে আলীর সাথে বন্ধুত্ব রাখে, এবং তুমি তার সাথে শত্রুতা রাখ যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে, এবং তুমি তাকে ভালোবাসো যে আলীকে ভালোবাসে, এবং তুমি তার সাথে হিংসা রাখ যে আলীর সাথে হিংসা রাখে, এবং তুমি তাকে সাহায্য করো যে আলীকে সাহায্য করে, এবং তুমি তার মুখ ফিরিয়ে নাও যে আলীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, এবং হককে সেদিকে রাখ আলী যেদিকে থাকে।”

এবং ইবনে হাজার গদীরের হাদীসের হাওয়ালায় বলেন যে, অবশ্যই এই হাদিসটি সহীহ এতে কোনো সন্দেহ নাই। এবং তিরমিযী, নাসাঈ ও আহমাদ বিন হম্বলের মত এক জামাআত এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। এবং এর তরীকও প্রচুর। অতঃপর ইহা ষোলো জন সাহাবী হতে বর্ণিত আছে। এবং আহমাদ বিন হাম্বলের বর্ণনায় এই হাদীসটি ত্রিশ জন সাহাবী নবী পাক (সঃ) হতে শুনেছেন এবং এই হাদীসের দ্বারা আলী (আঃ) এঁর খেলাফতর পক্ষে তাঁরা সাক্ষী দিয়েছিলেন। এর সনদ  প্রচুর এবং সনদ সমূহ সহীহ ও হাসান।

[ ইবনে হাজার মক্বী : আস সাওয়ায়েকুল মুহরিকা, ৩৫ পৃষ্ঠা (মিশর প্রিন্ট)]

✍️ আলহাজ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী

Fasting on Day of Eid e Ghadeer / ঈদে গদীরের দিনের রোযা

*Fasting a single fast on the day of Eid e Ghadeer has the same benefit as the fasting for 60 months*

It was narrated by Abu Huraira that the Holy Prophet (pbuh) has said that, the person who fasts on the date of 18th Zilhaj, under his name shall be written the benefit of fasting for 60 months, and that is the day when the event of Ghadeer Khum happened, and the Holy Prophet (pbuh) held the hand of Ali (AS) and thereafter questioned the congregation present, ‘Am I not the guide of all the ‘Momins’ (faithful)?’ All replied, ‘Yes, indeed, oh Holy Prophet (pbuh).’ Then the Holy Prophet (pbuh) said, ‘To whomsoever that I am the Master, Ali is his Master’. Then His Holiness Omar ibne Khattab said, ‘Oh, the son of Abu Taleb, congratulations and greetings to you for this blessing and status: you have become the Master of myself and every ‘Momin’ and ‘Momina’. Thereafter, Allah revealed the Ayat “Al yaoma akmaltu lakum deenukum …..’ (Today I have completed your religion for you and I have fulfilled my blessings upon you).

( 1. Siyuti : AD Durrul Mansur, 2 : 259
2. Imam Razi : At Tafsirul Kabir, 11 : 139
3. Ibne Kasir : Al Bedaya wan Nehaya, 5 : 464
4. Khatibe Baghdadi, Tarikhe Baghdad, 8 : 290
5. Tabarani : Al Mujammul Awsat, 3 : 324
6. Ibne Asakir, Tarikhe Dimashq Al Kabir, 45 : 176-177)

✍️ Al-Haj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi
Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

*ঈদে গদীরের দিনের একটি রোযা রাখা ৬০ মাস রোযা রাখার সমান সওয়াব*

হযরত আবু হোরায়রা হতে ব বর্ণিত আছে যে,নবী করীম (সঃ) বলেন যে ব্যক্তি ১৮ ই যিলহাজ তারিখ রোযা রাখবে তার জন্য ৬০ মাস রোযা রাখার সওয়াব লেখা হবে এবং ঐ দিনটিতেই গদীরে খুমের ঘটনা ঘটে এবং রসুলুল্লাহ (সঃ) হাযরত আলী (আঃ) এঁর হাত ধরেন অতঃপর উপস্থিত জনতার কাছে প্রশ্ন করেন, “আমি কি সমস্ত মু’মিনের ওয়ালী নই?” সবাই জবাব দিল হ্যাঁ অবশ্যই ইয়া রসুলুল্লাহ (সঃ)।  তখন রসুলে পাক(সঃ) বললেন, “আমি যার মওলা আলী তার মওলা। ” তখন হযরত উমর ইবনে খাত্তাব বললেন “ওহে আবু তালিবের শাহযাদা এ হেন ফযীলত ও পদমর্যাদার জন্য আপনাকে মোবারক বাদ ও শুভেচ্ছা, আপনি আমার এবং প্রত্যেক মু’মিন ও মু’মিনার মওলা হয়ে গেলেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ‘আল ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দীনাকুম… ‘ (আজ তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম) আয়াতটি নাযিল করেন। 

( ১. সিয়ূতী : আদ দুররুল মনসুর, ২ : ২৫৯
২. ইমাম রাযী : আত তফসীরুল কবীর, ১১ : ১৩৯
৩. ইবনে কাসীর : আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৫ : ৪৬৪
৪. খতীবে বাগদাদী : তারীখে বাগদাদ, ৮ : ২৯০
৫. তাবারাণী : আল মু’জামুল আওসাত, ৩ : ৩২৪
৬. ইবনে আসাকির : তারীখে দিমশক আল কবীর, ৪৫ : ১৭৬-১৭৭)

✍️ আলহাজ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী



Prayer of Eid ul Adha / ঈদুল আযহার নামায

The Method of Offering the Eid ul Adha Prayer

𝑵𝒊𝒚𝒂𝒕’ (𝑫𝒆𝒄𝒍𝒂𝒓𝒂𝒕𝒊𝒐𝒏 𝒐𝒇 𝑰𝒏𝒕𝒆𝒏𝒕𝒊𝒐𝒏) :

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَاتَىْ صَلٰوةِ عِيْدِ الْأَضْحىٰ مَعَ سِتِّ تَكْبِيْرَاتِ وَاجِبِ اللهِ تَعَالٰى
مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَر

𝑻𝒉𝒆 𝑴𝒆𝒕𝒉𝒐𝒅 𝒐𝒇 𝒕𝒉𝒆 𝑷𝒓𝒂𝒚𝒆𝒓 :
After making the ‘Niyat’ (Declare the Intention) and tieing the ‘Takbir-Tahreema’ , the ‘Sana’ has to be recited, that is :

سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَ لَا اِلٰه غَيْرُكَ

Thereafter, lift the two hands up to the two ears and utter the ‘takbir’ ‘Allahu Akbar’, and leave the two hands hanging down. In this way, perform the ‘takbir’ twice, and in the third time after lifting up the hands to the two ears and uttering the ‘takbir’, tie the two hands together (in ‘tahreem’) instead of leaving the two hands hanging. Thereafter, after saying Sura Fatiha and any Sura and completing the first ‘rakat’, get up for the second ‘rakat’ and say Sura Fatiha and another Sura, and life before, lifting up the hands to the two ears and uttering the ‘takbir’, leave the two hands hanging down. After doing this this way for three times, on the fourth time after uttering the ‘takbir’, go to the ‘ruku’ position. Thereafter, the second ‘rakat’ must be completed as usual.

After the Prayer, the Imam will render the sermon. Thereafter, he will supplicate.

✍️ Al-hajj Maulana Muhammad Waliullah Quaderi

Translated into English by : Syed Mujtaba Quader

ঈদুল আযহার নামায পড়ার নিয়মাবলী

নিয়াত :

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَاتَىْ صَلٰوةِ عِيْدِ الْأَضْحىٰ مَعَ سِتِّ تَكْبِيْرَاتِ وَاجِبِ اللهِ تَعَالٰى
مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَر

নামাযের পদ্ধতি –
নিয়াত করে তাকবীর-তাহরীমা বাঁধার পর ‘সানা’ অর্থাৎ

سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَ لَا اِلٰه غَيْرُكَ

পড়তে হবে। অতঃপর দুই কান পর্যন্ত দুই হাত নিয়ে গিয়ে তাকবীর ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করে দুই হাত নিচের দিকে ছেড়ে দিতে হবে। এই ভাবে দুইবার তাকবীর পাঠ করার পর তৃতীয় বারে দুই হাত দুই কান পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তাকবীর পাঠ করে দুই হাত ছেড়ে না দিয়ে তাহরীমা বাঁধতে হবে। অতঃপর সুরা ফাতেহার পর যেকোনো একটি সুরা দিয়ে প্রথম রাকাআত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাআতে উঠে সুরা ফাতেহার পর অন্য একটি সুরা পড়ে পূর্বের ন্যায় দুই হাত দুই কান পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তাকবীর পাঠ করে দুই হাত নিচের দিকে ছেড়ে দিতে হবে। এইভাবে তিনবার করার পর চতুর্থ বারে তাকবীর পাঠ করে রুকুতে যেতে হবে। তারপর যথারীতি দ্বিতীয় রাকাআত সম্পন্ন করতে হবে।

নামায শেষে ইমাম সাহেব খুতবা পাঠ করবেন। অতঃপর মোনাজাত করবেন।

✍️ আলহাজ মওলানা মুহাম্মাদ ওয়ালীউল্লাহ্ কাদেরী